আজকাল বেশিরভাগ মানুষ অস্থিসন্ধির ব্যথা বা ফোলা সমস্যায় ভুগছেন। কারণ উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড। খারাপ ডায়েট এবং ওয়ার্কআউট ছাড়া জীবনযাপন। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা শুরু হয়। আর্থ্রাইটিস থেকে কিডনিতে পাথর পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। কিন্তু শরীরে পিউরিনের পরিমাণ বেড়ে গেলে কিডনি পরিশ্রুত করতে পারে না। তখন এটি রক্তের সঙ্গে মিশে স্ফটিকের রূপ নেয়। অনেকেই ওষুধ খান। তবে ওষুধে রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই ইউরিক অ্যাসিড কমাতে আয়ুর্বেদের উপর ভরসা করতে পারেন। এমন তিনটি গাছের পাতা রয়েছে যা চট করে কমিয়ে দেবে ইউরিক অ্যাসিড।
উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড রক্তের মাধ্যমে অস্থিমজ্জায় জমা হয়। এই কারণে গাঁটের ব্যথা শুরু হয়। অস্থিমজ্জার ফাঁক বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে বাড়ে ফোলাভাবও। বেশি দূরত্বে হাঁটা এবং বসতে অসুবিধা হতে শুরু করে। জয়েন্টগুলিতে অসহ্য ব্যথা হয়। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ইউরিক অ্যাসিড। কী করে?
পান পাতা-পান পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। তা অস্থিমজ্জার ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতে কার্যকর। ব্যথা এবং ফোলাভাব দেখা দিলে পান খাওয়া শুরু করুন। এ জন্য সকালে পান চিবিয়ে খেতে পারেন। জলে ফুটিয়েও পান করা যেতে পারে। এটি উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডও নিয়ন্ত্রণে আনবে।
ধনে পাতা- আয়ুর্বেদ অনুসারে ধনে পাতা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ধনে পাতা বাটা খেতে পারেন। কিডনি পরিশ্রুত করতেও সক্ষম ধনে পাতা। অস্থিসন্ধির ফোলাভাবও কমায় ইউরিক অ্যাসিড। ফোলাভাব কমায়।
শিউলি- শিউলি আয়ুর্বেদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ। এর ফুল ও পাতায় ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। শিউলি পাতার রস তৈরি করে পান করলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে বা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি ফোলা এবং ব্যথা দূর করে দেয়।