শিশুরা যখন কান্নাকাটি করে বা কোনও কিছুর জন্য বায়না ধরে, তখন অভিভাবকরা প্রায়শই বাচ্চাকে চুপ করাতে হাতে মোবাইল বা অন্য কোনও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তুলে দেন। এই প্রবণতা আজকাল বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে। এটি শিশুকে সঙ্গে সঙ্গে শান্ত করে। এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলের মগ্ন থাকে শিশু। সারা বিশ্বে করা সব গবেষণায় দেখা যায়, অল্প বয়সে শিশুদের হাতে ফোন তুলে দিলে তাদের মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু তাই নয়, একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইল, গ্যাজেট এবং বেশি টিভি দেখার নেশা শিশুদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। এ কারণে তাদের মধ্যে ভার্চুয়াল অটিজমের ঝুঁকি বাড়ছে।
ভার্চুয়াল অটিজম কী
ভার্চুয়াল অটিজমের লক্ষণগুলি সাধারণত চার থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এটি প্রায়শই মোবাইল ফোন, টিভি এবং কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের প্রতি তাদের আসক্তির কারণে হয়। স্মার্টফোনের অধিক ব্যবহার, ল্যাপটপ ও টিভিতে বেশি সময় ব্যয় করার কারণে শিশুরা সমাজের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে কথা বলতে এবং যোগাযোগ করতে অসুবিধা অনুভব করতে শুরু করে।
এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, দিল্লির বিএলকে ম্যাক্স হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রজনী ফারমানিয়া বলেন, "আমরা এই অবস্থাটিকে বলি ভার্চুয়াল অটিজম যার মানে সেই শিশুদের অটিজম নেই তবে তারা এর লক্ষণগুলি পেয়ে থাকে৷ এক থেকে তিন বছরের শিশুরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। বর্তমান সময়ে শিশুরা হাঁটা শুরু করলেই তারা ফোনের কবলে পড়ে। এটি এক থেকে পৌনে তিন বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে অনেক বেশি দেখা যায়, যেখানে বাবা-মা তাদের থেকে দূরে থাকার কারণে প্রায়শই এটি করে থাকে। অনেক সময় বাবা-মা মনে করেন আমরা বাচ্চাদের পড়তে শেখাচ্ছি। তারা A, B, C, D শেখাচ্ছে কিন্তু শিশুদেরকে তারা গ্যাজেটের প্রতি আসক্ত করে তুলছে।