দৈনন্দিন জীবনে বেড়েছে ব্যস্ততা। বদলে গিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে ক্ষতি হচ্ছে শরীরের। স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করছেন। ফলে ধীরে ধীর শরীরে বাসা বাঁধছে বিবিধ রোগ। বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সম্বিৎ ফেরে। পুষ্টির অভাব বা বদভ্যাসের কারণে দুর্বল হতে শুরু করে হাড়। ছোটখাটো কাজ করলেও শরীরে ব্যথা অনুভব হতে শুরু করে।
এমন অনেক বদভ্যাস আছে যেগুলির কারণে হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু করে। এজন্য দায়ী জীবনযাপন ও খাওয়ার ধরন। সেজন্য জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে হাড়কে শক্তিশালী করতে হবে। কয়েকটি অভ্যাসের বদল করলেই তা করা সম্ভব।
১। অলস জীবনযাত্রা- শরীরচর্চা করেন না অনেকে। সারাদিন বসে কাজ করেন। বাড়়িতে ফিরেই শুয়ে পড়েন। ফলে দিনভর শরীর কোনও কায়িক পরিশ্রম করে না। এর ফল মারাত্মক। অতিরিক্ত আরামের ফলে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। তাই নিয়মিত ব্যায়াম বা অন্তত হাঁটাচলা করা উচিৎ।
২। ভিটামিন ডি-এর অভাব- শহরে কাছাকাছি ফ্ল্যাট। আলো ঢোকার জায়গা থাকে না। পৌঁছয় না সূর্যের আলো। বাড়ি থেকেও অনেকে বের হন না। বেরোলেও সূর্যের আলো এড়িয়ে চলেন। সূর্যের আলোর উত্তাপ থেকে শরীরে আসে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিনের অভাবে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। শিশুরা সঠিক পরিমাণে সূর্যালোক না পেলে রিকেটের মতো রোগ হতে পারে।
৩। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া- পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে হাড় দুর্বল হতে থাকে। আরও একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।
৪। নুনের অত্যধিক ব্যবহার- অনেকে নোনতা জিনিস খেতে পছন্দ করেন। খাওয়ার পাতে নুন বেশি করে নেন। নুন বেশি খেলে হাড়ের ক্ষতি পারে, সেটা কি জানেন! এই অভ্যাস হাড়কে দুর্বল করে দিতে পারে। নুনে সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যে কারণে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম কমতে শুরু করে। এই পুষ্টি উপাদানটি হাড় শক্তিশালী করে। ফলে ক্যালসিয়াম কমলে স্বাভাবিকভাবে দুর্বল হবে হাড়।
৫। ধূমপান ত্যাগ করুন- ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। ধূমপান ফুসফুসের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ক্যান্সারের মতো রোগও হতে পারে। কিন্তু এটা জানেন না বোধহয়, অতিরিক্ত ধূমপানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে হাড়। তাই তাড়াতাড়ি ধূমপান ছাড়ুন।
আরও পড়ুন- ৯ সেকেন্ডে ব্যাটারি বদল, দাম মাত্র ৩৫,০০০ টাকা, চলে এল 'বাজ'