হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। থাইল্যান্ডের ভিলায় তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। শেন ওয়ার্নের অকস্মাৎ মৃত্যু নিয়ে নানা মহলে বিবিধ দাবি করা হচ্ছে। কারও মতে, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে মৃত্যু হয়েছে স্পিন কিংবদন্তির। কারও ধারণা, মাদক নিতেন শেন। তবে শেন অতিরিক্ত মদ বা মাদক নিতেন না বলে দাবি করেছেন তাঁর ম্যানেজার জেমন এরস্কিন। তাঁর কথায়,'শেন ওয়ার্ন থাইল্যান্ডে বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। তিনি ওজন কমাচ্ছিলেন। চাইছিলেন আগের অবস্থায় ফিরতে।'
প্রায়শই দেখা যায়, ওজন কমাতে গিয়ে অনেকে এমন ডায়েট করেন যা শরীরের উপর চাপ ফেলে। ওজন কমাচ্ছিলেন শেন। সেজন্যই তাঁর মৃত্যু হয়েছে এমনটা এই প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে না। তবে ওজন কমানোর জন্য অনেকে এতটাই আকুল হয়ে ওঠেন যে শরীরের তার কী প্রভাব ফেলতে পারে সেদিকে নজর দেন না। দিন কয়েক আগে ৩০ বছরের এক মহিলা ১৪১ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। তার পর শরীর এতটাই খারাপ হয় যে আইসিইউ-তে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। ওজন কমাতে তাই কয়েকটি ব্যাপারে নজর দিতেই হবে-
শারীরিক দুর্বলতা - ডায়েটিং করলে শরীর অনেক সময় দুর্বল হয়ে ওঠে। মাথা ঘুরতে থাকে। খিদে পেলে খাবার খান না অনেকে। তাতে শরীর আরও দুর্বল হয়ে ওঠে। শরীরে জলের অভাব দেখা যায়।
ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব- ডায়েটিংয়ে কম ক্যালরির খাবার খান অনেকে। এতে শরীরে খনিজ ও ভিটামিনের অভাব দেখা দেয়।
ক্লান্তি- ডায়েট করলে খাবার কম খাওয়ায় শরীর সইতে পারে না। শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করে শরীর। ক্লান্তি আসা খুব স্বাভাবিক।
মানসিক অবসাদ- ডায়েটিংয়ে শরীর দুর্বল হয়ে ওঠে। তার উপরে তা কাজে না এলে প্রভাব ফেলে মানসিক স্বাস্থ্যে। মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ড অনিয়মিত হয়ে যায়।
ডায়েটিংয়ে কী খেয়াল রাখবেন?
- ওজন কমাতে গেলে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। শুরু থেকে একেবারে ক্যালরি কমিয়ে দেবেন না। ধীরে ধীরে ক্যালরি কমাতে হবে। যতটা খান তার চেয়ে ২০০-৩০০ ক্যালরি খাবার কম খান শুরুতে।
- ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত ফল, ব্রাউন পাউরুটি এবং সবজি। ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পর্যাপ্ত থাকে এতে।
- কমপ্লেক্স কার্বস যেমন চাল, রুটি, ব্রাউন ব্রেড, ওটস ডায়েটে রাখুন। এতে শরীরে শক্তি থাকে।
- কোনওদিন কম ক্যালরি খেলে পরিমিত বিশ্রাম নিন। বিশ্রাম না নিলে পরিশ্রান্ত হয়ে পড়বেন।
- পর্যাপ্ত পানীয় জল খান। যাতে শরীর ডি-হাইড্রেট না হয়।
- প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও কার্বযুক্ত খাবার খান।
- শুধু খাবারে হবে না কসরত করুন। কম খেলে ওজন কমে না বরং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ২০০ থেকে ৩০০ ক্যালরি কম খেয়ে শরীরচর্চা বাড়ান।
আরও পড়ুন- বছর ঘুরতেই ৩৮% ভোট কমে ১৩%! দায় কার? বঙ্গ বিজেপিতে গৃহদাহ