scorecardresearch
 

Weight Loss Mistakes: পুজোর আগে ডায়েট, শরীরচর্চা করেও কমছে না ওজন? এই ৬ ভুল করছেন না তো

রোগা হতে গিয়ে অনেকেই স্বাস্থ্যকর ডায়েটের নামে একের পর এক ভুল করে ফেলেন। যে ভুলগুলির দাম চোকাতে হয় তাঁদের। এর মধ্যে খালি পেটে অনেকক্ষণ থাকা থেকে প্রোটিনের অভাবের মতো মারাত্মক ভুলও রয়েছে।  এমনই ৬টি ভুলের কথা তুলে ধরা হল-  

Advertisement
এই ভুলগুলির জন্য কমছে না ওজন। এই ভুলগুলির জন্য কমছে না ওজন।
হাইলাইটস
  • রোগা হতে গিয়ে অনেকেই স্বাস্থ্যকর ডায়েটের নামে একের পর এক ভুল করে ফেলেন।
  • জেনে নিন এমন ৬টি ভুলের কথা।

পুজো চলে এল। মাস দুয়েক আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া। সকলের নজর কাড়তে নিয়মিত শরীরচর্চা ও খাওয়া-দাওয়ায় বদল এনেছেন। আর ওজন কমাতে হলে ঝক্কি পোয়াতে হবেই। অথচ জিম,ডায়েট করেও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না! নিয়মের বেড়াজালে থেকেও ভুঁড়ি কমছে না কিছুতেই। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ধৈর্য্য হারান। কিন্তু ধৈর্য্য না হারিয়ে খুঁজে দেখা দরকার, এত চেষ্টা করেও কেন বিফলে যাচ্ছে!

আসলে রোগা হতে গিয়ে অনেকেই স্বাস্থ্যকর ডায়েটের নামে একের পর এক ভুল করে ফেলেন। যে ভুলগুলির দাম চোকাতে হয় তাঁদের। এর মধ্যে খালি পেটে অনেকক্ষণ থাকা থেকে প্রোটিনের অভাবের মতো মারাত্মক ভুলও রয়েছে।  এমনই ৬টি ভুলের কথা তুলে ধরা হল-  

১। খালি পেটে দীর্ঘক্ষণ থাকা- পেট কমাতে গিয়ে অনেকেই ভেবে নেন খাওয়া-দাওয়া কমালেই বুঝি কেল্লাফতে। না খেয়ে থাকার সহজ উপায় বেছে নেন তাঁরা।  আর এটাই সমস্যার সূত্রপাত করে। না খেয়ে থাকার প্রভাব পড়ে মেটাবলিজমের উপর। কমে যায় মেটাবলিজম। শরীর চর্বি সঞ্চয় করতে থাকে। এর ফলে রোগা হওয়া আর হয় না। সেই সঙ্গে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে ওঠে। এর ফলে শরীরচর্চায় ব্যাঘাত ঘটে। পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। সবমিলিয়ে ওজন হ্রাস আর হয় না।

২। প্রোটিনের ঘাটতি- ওজন কমাতে দরকার স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া। অনেকে খাওয়া কমাতে গিয়ে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বাদ দিয়ে দেন। শরীরে তার ঘাটতি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার একেবারে বাদ দিলে চলবে না। ওজন ঝরিয়ে পেশবহুল টানটান শরীরের জন্য দরকার প্রোটিন।

৩। প্রাতরাশ বাদ - অনেকেই ভাবেন খাওয়ার কমিয়ে রোগা হবেন। আর এক্ষেত্রে তাঁরা এড়িয়ে যান সকালের খাবার। এই অভ্যাস দীর্ঘ দিন চালিয়ে গেলে ওজন বেড়ে যায়। সকালের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতরাশের উপর নির্ভর করে সারাদিন কেমন থাকবেন। সকালে পুষ্টিকর খাবারই গোটা দিনের তাল বেঁধে দেয়। 

Advertisement

৪। অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার- অনেকে ভাবেন সারাদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই বুঝি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সেজন্য পি-নাট বাটার, আমন্ড, বাদাম ইত্যাদি খেয়ে চলেন। এতে শরীর বেশি পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করে। ফলে ওজন বাড়ে বই কমে না! তাই আমন্ড, বাদাম, ছোলা, খেজুর, পি-নাট বাটার নিয়ন্ত্রণে রেখে খাওয়া দরকার। 

৫। তেল দেওয়া রান্না- ওজন কমাতে গিয়ে অনেকে বাড়ির রান্নার প্রতি নজর দেন না। রান্নায় তেল দিয়ে ফেলেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, তেল খাবারের ক্যালোরি বাড়িয়ে দেয়। ফলে রান্নায় কম তেল দিন। অনেকে খাবারে স্বাদ আনতে সসেরও ব্যবহার করেন। এটা করবেন না। সসের ব্যবহারেও আনুন নিয়ন্ত্রণ। 

৬। শরীরচর্চায় ভুল- জিমে গিয়ে বহু মানুষ ভুল করে ফেলেন। তার অন্যতম অতিরিক্ত বিশ্রামের বিরতি নিয়ে ওয়ার্কআউট। সামান্য থেমে ওয়ার্কআউট করাই বাঞ্চনীয়। শরীরচর্চার সময় আড্ডা বা কথাবার্তা, ফোনঘাঁটা বন্ধ রাখুন। মনোনিবেশ করুন ওয়ার্কআউটে। শরীরচর্চা করলে প্রথম দিনে যে ব্যায়াম করতেন সেটাই করবেন না। তার সেট বাড়ান। জিমে ওয়েটলিফটিং করলে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে ওজন বাড়ান। দৌড়নো ১ কিলোমিটারে শুরু করলে মাসখানেক পর ২ কিলোমিটার করুন। অর্থাৎ যে ক্ষমতা আপনার মাসখানেক আগে ছিল তার বৃদ্ধি করুন। কারণ শরীর অভ্যাসের দাস। একই ধরনের শরীরচর্চায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবে আর ক্যালোরি কমে না। কারণ অভ্যাসগত হওয়ায় তাতে বেশি শক্তি অপচয় করতে হয় না।  

আরও পড়ুন- কোলেস্টেরল বাড়ার ৩ লক্ষণ দেখা দেয় হাতে, এই তিন পানীয় খেয়ে কমান

               

Advertisement