বর্তমান জীবনযাত্রা এখন এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে সকলেই এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিজেদের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে। কাজ-পরিবারের অত্যাধিক চাপ, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, জাঙ্ক ফুড, ঘন ঘন চা পান সবকিছু মিলিয়ে ওজন বেড়ে যাওয়া কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে ওজনকে রাখতে হবে একেবারে নিয়ন্ত্রণে। আর যে কারণে অনেকেই তাঁদের ডায়েট থেকে সাদা ভাত বাদ দিয়েছেন এবং তার পরিবর্তে খাচ্ছেন ব্রাউন রাইস। কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সত্যিই কি সাদা ভাতের চেয়ে ব্রাউন রাইস কার্যকর। আবার অনেকে সাদা চিনির বদলে ব্রাউ চিনি খান ওজন কমাতে। কিন্তু সেটাতে কি কোনও কাজ হয়। আসুন সত্যিটা জেনে নিই।
হোয়াইট বনাম ব্রাউন রাইস
এমনিতে ব্রাউন রাইস খুবই জনপ্রিয়। প্রক্রিয়াকরণের সময়ও এই চালে বজায় থাকে পুষ্টিগুণ। গবেষণা মতে, ব্রাউন রাইস বা বাদামি চাল অ্যান্টি ডায়াবেটিক, অ্যান্টি কোলেস্টেরল, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে এমন উপাদান রয়েছে ব্রাউন রাইসে৷ অন্যদিকে, সাদা ভাতের কার্বোহাইড্রেটের দৌলতে চটজলদি কর্মশক্তি পাওয়া যায়৷ সাদা ভাত বা হোয়াইট রাইস বেশি খেলে বাড়তে পারে ওজন।
সাদা চিনি বনাম ব্রাউন চিনি
প্রক্রিয়াজাত বলে সাদা চিনিতে পুষ্টিগুণ কম৷ গুড়ে ও বাদামি চিনিতে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম অনেক কম সাদা চিনির তুলনায়৷
ব্রাউন ও হোয়াইট ব্রেড
ব্রাউন ও হোয়াইট ব্রেড, দুটিই হল গমের থেকে তৈরি খাবার। তবে এই দুই ধরনের পাউরুটি বানানোর কৌশল সম্পূর্ণ আলাদা। হোয়াইট ব্রেড তৈরির সময় গমকে পালিশ করা হয়। এর ফলে শস্যের ফাইবার অংশ সাদা পাউরুটিতে থাকে না। এই কারণে হোয়াইট ব্রেড খুব নরম হয়। সাদা পাউরুটির মধ্যে শস্যের ভাগ বা ফাইবার থাকে না। তাই নিয়মিত হোয়াইট ব্রেড খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকী এই ধরনের পাউরুটি কোলেস্টেরল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও ডেকে আনতে পারে। এছাড়া নিয়মিত হোয়াইট ব্রেড খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও তৈরি হবে। অপরদিকে ব্রাউন ব্রেডে শস্যের তিনটি ভাগ- এন্ডোস্পার্ম, ব্র্যান এবং জার্ম থাকে। তাই এই ধরনের পাউরুটি খেলে কিন্তু সুগার ও কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
সাদা চিনি নাকি গুড়
সাদা বা বাদামি চিনির মধ্যে পুষ্টির পার্থক্য নগণ্য৷ এই দুই উপাদানের তুলনায় গুড় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত৷