বলা হয় যারা নাকি ঝগড়া করে কচু খেলে তাদেরই গলা চুলকোয়। যদিও এটা একেবারেই সত্যি নয়। কিন্তু কচু অনেকেরই অপছন্দের একটি সবজি। অধিকাংশ মানুষই কচু খাওয়া থেকে নিজেদের বিরত রাখেন। এর অন্যতম কারণ হল কচু খেলে অনেকেরই গলা চুলকোয়। আর এই ভয়ে অনেকেই কচু খাওয়া এড়িয়ে যান। অথচ এই কচু দিয়েই নিরামিষ হরেক রকমের পদ হয়। যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে।
কেন গলা চুলকোয়
আসলে কচুতে থাকে র্যাফাইড। এগুলি গলায় আটকে যায় এবং এরপরই গলা চুলকোতে শুরু করে দেয়। কী এই র্যাফাইড? এর বৈজ্ঞানিক নাম ক্যালসিয়াম অক্সালেট। কচুর গাছের মূলে তো বটেই, কাণ্ডে এবং পাতায় এই যৌগ থাকে। এগুলি গাছটির রেচন পদার্থ। এর গড়ন অনেকটা সূচের মতো। তাই খাওয়ার সময়ে এগুলি গলায় বিঁধে যায়। আর প্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত উত্তাপে এই র্যাফাইডের বেশির ভাগই গলে যায়। ফলে রান্না করা কচু খেলে গলা চুলকোয় না। তবু অনেক সময়ে কিছু কিছু র্যাফাইড অক্ষত থেকে যায় কচুতে। তা গলার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু তাই নয়, এই র্যাফাইড অনেক সময় রক্তে মিশে কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। যা পরবর্তী কালে কিডনিতে পাথর জমার কারণও হয়ে দাঁড়ায়।
মুক্তির উপায়
কচু খাওয়ার পর এই গলা চুলকানি থেকে বাঁচার জন্য খাওয়ার আগে তার গায়ে লেবু বা তেঁতুলের রস লাগিয়ে নিতে পারেন। এগুলিতে যথাক্রমে সাইট্রিক এবং টার্টারিক অ্যাসিড থাকে। সেগুলি র্যাফাইডকে গলিয়ে দেয়। ফলে গলার অস্বস্তির আশঙ্কা তো থাকেই না, কিডনির স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। অথবা রান্নার পর কচু বা কচুর শাকে তেঁতুল বা লেবুর রস একটু মিশিয়ে নিতে পারেন, তাতে কচু খাওয়ার পর গলা চুলকানোর মতো সমস্যা দেখা দেবে না।
ওল খেলেও একই সমস্যা হয়
তবে শুধু কচু নয়, ওলের ক্ষেত্রেও একই বিষয় দেখা যায়। তার গায়ে লেগে থাকা র্যাফাইডের সমস্যার সমাধানও করতে পারে লেবু এবং তেঁতুল। তাই ওল রান্নার পর এতেও লেবু বা তেঁতুলের রস মিশিয়ে দিতে পারেন।