ব্যস্ত জীবনযাপনের কারণে সকলেই এখন সময় বাঁচাতে চান। রান্না করার ক্ষেত্রেও বেশি সময় থাকে না। রান্না করেই যেতে হবে অফিস। সেজন্য প্রেসার কুকার ব্যবহার করেন অনেকে। বেশিরভাগ বাড়িতে রান্নার জন্য কুকার ব্যবহার করা হয়। প্রেসার কুকারে খাবার শুধু দ্রুত রান্না হয় না, এতে জ্বালানিও সাশ্রয় হয়। তা সত্ত্বেও, আপনি কি জানেন, কুকারে তৈরি খাবার স্বাস্থ্যের উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি করতে পারে! কুকারে রান্না করা খাবার খেলে অ্যাসিডিটি থেকে শুরু করে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। চলুন জেনে নিই এমনই ৫টি জিনিস সম্পর্কে যা কুকারে রান্না করলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর-
পুষ্টিগুণ কমে যায়- খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,খাবার সবসময় কম আঁচে রান্না করা উচিত, তবেই এর পুষ্টিগুণ অটুট থাকে। উচ্চ তাপে খাবার রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। জার্নাল অফ সায়েন্স অফ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত তাপে রান্না করলে খাবারের পুষ্টিগুণ কমে যায়। কুকারে খাবার রান্নায় অতিরিক্ত তাপ দেওয়া হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কুকারে রান্না করা কী কী খাবেন না-
ভাত-বেশিরভাগ মানুষ ভাত তৈরি করতে কুকার ব্যবহার করে। তবে ভাত কখনও কুকারে রান্না করা উচিত নয়। কুকারে ভাত রান্না করলে ভাতে উপস্থিত স্টার্চ রাসায়নিক পদার্থ বের হয়। ফেনা আকারে উপরে ভাসে। হাঁড়িতে ভাত সেদ্ধ করলে তা সহজেই তুলে ফেলা যায়, কিন্তু কুকারে তা ভাতের সঙ্গে মিশে যায়। এই ধরনের ভাত খেলে হজমের সমস্যা হয়। বাড়ে হজমের সমস্যা। সেই সঙ্গে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও হতে পারে।
আলু-যাঁরা কুকারে আলু,মটর বা আলু রান্না করেন তাঁরা জানলে অবাক হবেন যে প্রেসার কুকারে আলুও রান্না করা উচিত নয়। এতে আলুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া আলুতে থাকা স্টার্চ কুকারে রান্না করার সঙ্গে সঙ্গে এক ধরনের রাসায়নিক তৈরি করে, যা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
নুডলস- নুডুলসে স্টার্চের পরিমাণ অনেক বেশি। কুকারে নুডলস তৈরি করলে স্টার্চ বের হয় না, যা পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই সবসময় প্যানে নুডলস তৈরি করুন।
মাছ-মাছ খেলে এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। কিন্তু যখন এই মাছ রান্না করে কুকারে খাওয়া হয়, তখন তা থেকে বেরিয়ে আসা ব্যাকটেরিয়া শরীরের ক্ষতি করতে শুরু করে।
পাস্তা-পাস্তা স্টার্চ সমৃদ্ধ। তাই এটি প্রেসার কুকারে রান্না করা উচিত নয়। প্রেসার কুকারে পাস্তা সেদ্ধ করলে তা স্নায়ুর রোগ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।