Mimi Chakraborty's Aunt Won From TMC: একটাই আসন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের ১৭/১৫৫ নম্বর বুথ। সেখান থেকে তিন দলের তিন প্রার্থীর তিনজনই মহিলা। তার চেয়ে আকর্ষণের তিনজনই একই বাড়ির বউ। শুধু বউ নয়, তাঁরা প্রত্য়েকে তিন ভাইয়ের বউ। অর্থাৎ তিন জা। চমকের এখানেই শেষ নয়। মূল চমক বা আকর্ষণ এখনও জানতে বাকি আছে। তিনজনই জলপাইগুড়ির মেয়ে বর্তমানে টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর মামী।
এবার বোঝা গেল, এই আসনে ভোটের উত্তেজনা কোথায়? এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের আকর্ষণ ছিল এই পরিবারের তিন বউ। কে জিতবে তা জানার জন্য উৎসুক ছিল গোটা রাজ্য। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে ফল বের হল। কে জিতলেন? আসুন জেনে নিই। ভোটের ঢাকে কাঠি পরতেই এই তিন পঞ্চায়েত ভোট প্রার্থী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন। সম্পর্কে তাঁরা একে অপরের জা হলেও ভোট ময়দানে যে যার মতোই তৈরি করেছিলেন রণকৌশল। অবশেষে মঙ্গলবার গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের গণনার পর শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূল প্রার্থী। দুই জা-কে ভোট যুদ্ধে পরাজিত করে জয়ী তৃনমূল প্রার্থী বলেন।
শেষমেষ তিন জায়ের লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন মিমির দলেরই প্রার্থী পুনম চক্রবর্তী। তৃণমূল থেকে দাঁড়িয়ে তিনি হারিয়েছেন অন্য দুই জাকে। জয়ের পরই মিমি নিজে ফোন করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। আর পুনমদেবী তিনি জানিয়েছেন, “এই জয়ে পারিবারিক সম্পর্কে ভাঁটা পড়বে না। রাজনীতির সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কোনও বিরোধ নেই। আমার এই লড়াই এলাকার উন্নয়নের লড়াই। এলাকার যে সব উন্নয়ন জায়গায় উন্নয়ন হয়নি, সেসব জায়গায় উন্নয়ন করব।”
জলপাইগুড়ির পুরাতন পাণ্ডা পাড়ার চক্রবর্তী বাড়ি যাদবপুরের তারকা সাংসদ মিমির মামাবাড়িও। সেই বাড়িরই তিন বউ এ বার পঞ্চায়েত ভোটে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন পাণ্ডাপাড়ার ১৭/১৫৫ নম্বর বুথ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। বড়মামী কান্তা ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী, মেজোমামী পর্ণা প্রার্থী হয়েছিলেন সিপিএমের। অন্যদিকে, ছোটমামী পুনম দাঁড়িয়েছিলেন মিমির দল তৃণমূলের হয়ে।