শুধু স্পর্শকাতর জেলায় নয়। গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। আজকের রায়ের পর হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে লাগামছাড়া হিংসার কারণেই এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের ২২টি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছে হাইকোর্ট। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন জানাবে কমিশন। তৎক্ষণাৎ বাহিনী দিতে হবে কেন্দ্রকে। বাহিনীর খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
'আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না।' পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে আজই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চ। এ দিনও উত্তপ্ত ভাঙড়। ভাঙড় ২ বিডিও অফিসের সামনে পড়েছে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা। সেখানে আজও একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মনোনয়ন পেশ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক সিপিএম কর্মীর। বিষয়টি প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাম এবং কংগ্রেসের আইনজীবীরা।
তাঁদের আর্জি, এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করুক আদালত। স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের পর্যবেক্ষণ, এখনও পর্যন্ত স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন। সেক্ষেত্রে আদালত গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়ে দেবে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, মামলার রায় কার্যকর না করা হলে নীরব দর্শক হয়ে থাকে না আদালত।
আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরেই পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কী কী পদক্ষেপ, তা জানায় রাজ্য। সওয়াল জবাবের পর রায়দান স্থগিত রাখে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চ। পরে বেঞ্চ তার রায়ে জানিয়ে দেয় পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার জন্য রাজ্যের ২২টি জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। যার খরচ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।