পঞ্চায়েতের মনোনয়নপর্ব থেকেই খবরের শিরোনামে ছিল ভাঙড়। মনোনয়নের শেষ দিন কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিনটি মৃত্যুর খবর এসেছিল। ভাঙড়ে শওকত মোল্লার সঙ্গে নওসাদ সিদ্দকির সংঘাতের কারণেই ওই হিংসা বলে অভিযোগ অনেকের। শওকত মোল্লা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক এবং তৃণমূলের ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক। আর নওসাদ সেখানকার বিধায়ক। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। সেই যুযুধান দু’জনকেই আজ, সোমবার একসঙ্গে পাওয়া গেল বিধানসভার গাড়ি বারন্দায়। সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরতেই হাসতে হাসতে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলেন দুই নেতা।
এদিন সাংবাদিকরা নওসাদকে প্রশ্ন করেন, ভাঙড়ে কি শান্তিপূর্ণ ভোট হবে? জবাবে একমুখ হাসি নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শওকতকে দেখিয়ে আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘বড় দাদা আছেন। আমি আশা করব উনি আমাকে বড় দাদা হিসাবে গাইড করবেন?’
একই প্রশ্ন সওকতের দিকে ছুড়ে দিলেন তিনি বলেন, ‘আমি নওসাদভাইকে বলব, ভাঙড়ে বেশি গন্ডগোল না করতে।’ নওসাদ পাল্টা জবাবে ঠোঁটের কোণে সেই হাসি নিয়েই বলেন, ‘বড় দাদা সবটা জানেন, কোথা থেকে লোক নিয়ে আসছেন, কারা গন্ডগোল করছেন, সব দাদা জানেন।’ সেইসঙ্গে নওসাদ এও বলেন, ‘আমার বাইরে থেকে লোক আনার প্রয়োজন হয় না। ভাঙড়ের মানুষই যথেষ্ট।’
নওশাদ বললেন, ‘‘সওকতদা আমার দাদার মতো, তাঁকে পাশে নিয়েই আমি শান্তি ফেরাতে চাই।’’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ভাঙড়ে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নবান্ন পৌঁছে গিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক। কিন্তু দেখা হয়নি।
অপরদিকে, নওশাদকে পাশে নিয়ে তৃণমূল নেতা শওকত বলেন, ‘‘আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে। শান্তিস্থাপনের পক্ষেই আমরা কাজ করে যাব। ওরা (নওশাদ) যদি ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় তা হলে আমরা সবসময় রাজি।’’