আমতার নিহত ছাত্র নেতা আনিস খানের দাদা সামসুদ্দিন খানকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করল সিপিআইএম। কুশবেড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির ৪২ নম্বর আসন থেকে ভোটে লড়বেন তিনি। রবিবার ছেলের সমর্থনে দেওয়ালে কাস্তে-হাতুড়ি-তারা আঁকেন আনিস ও সামসুদ্দিনদের বাবা সালেম খান। ছেলের হয়ে প্রচারে রয়েছেন তিনি।
সিপিএমের প্রার্থী হয়ে সামসুদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “আনিস যে সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখত, যে কারণে ওকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে খুন হতে হল, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতেই আমার ভোটের ময়দানে নামা।”
এর আগেই রাজ্যের রাজনীতিতে এরকম চিত্র দেখা গিয়েছে। রিজওয়ানুর রহমানের দাদা রুকবানুরকে বিধায়ক করেছিল তৃণমূল। নন্দীগ্রামের ‘শহিদের মা’ ফিরোজা বিবিকেও তাই। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের খুন হয়ে যাওয়া তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রুপালিকে উনিশের লোকসভায় রানাঘাট আসনে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। এবার সিপিএমও আনিসের দাদাকে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করল।
আনিসকে খুন করা হয়েছে, এই অভিযোগে সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন আন্দোলনে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়েছে। যার জেরে যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে দিন ১৫ জেলও খাটতে হয়েছিল গতবছর। শুধু তাই নয়। খান পরিবারের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন সিপিএম নেতারা। গতবার ইদের দিন আনিসদের বাড়িতেই কাটিয়েছিলেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ধর্মতলা অবরুদ্ধ করে বাম ছাত্র-যুবরা 'ইনসাফ' সভাও করেছিল।
সেই মঞ্চেও আনিসের বাবা সালেম খানকে দেখা গিয়েছিল। কৃষক সভা ও খেতমজুর সংগঠনের কর্মসূচিতে রানি রাসমণি রোডের সমাবেশে হাজির ছিলেন সালেম। বড় ছেলের প্রার্থী হওয়া নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আনিসের হত্যার বিচারের জন্য আমার লড়াই চলবে। আর আনিসকে যারা পুলিশ পাঠিয়ে খুন করিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে লড়তে নেমেছে আমার বড় ছেলে। আমি ওর পাশে আছি।’