scorecardresearch
 

Panchayat Election 2023: ২০১৩-র থেকে কম কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন চলবে না, কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের

মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিল। এদিন হাইকোর্ট ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার হওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement
নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা

কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই এরাজ্যে এবার পঞ্চায়েত ভোট হবে তা হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছিল মঙ্গলবার। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ আর তা নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছিল কমিশনের তরফে। তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে  কেন্দ্রীয় বাহিনী  বাড়ানোর বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিল। এদিন হাইকোর্ট ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার হওয়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর চেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে। 

সূত্রের খবর, আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে সোমবার কমিশনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই মামলার শুনানিতে আজ অর্থাৎ বুধবার রাজ্য ও নির্বাচন কমিশন জানায়, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে একটি চিঠি পাঠান হয়েছে,  এরপর কমিশনের তরফে আইনজীবী স্পষ্ট করেন প্রতি জেলায় এক কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে।  সেই মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর  নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

হাইকোর্টের  প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, জেলাওয়াড়ি এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা কোনও কাজের কথা নয়। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আরও বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের কাছে রিক্যুইজিশন পাঠাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। পাশাপাশি, এ দিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখেও পড়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা৷ প্রধান বিচারপতি  টিএস শিবজ্ঞানম মামলার রায় দিতে গিয়ে বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যদি আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে না পারেন তাহলে তিনি যেন পদ ছেড়ে দেন৷ তাঁর জায়গায় নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল৷

আরও পড়ুন

Advertisement

২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্যে আনা হয়েছিল মোট ৮২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাঁচ দফায় নির্বাচনের জন্য যে বাহিনীকে ডেকেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ, সেবার জেলা প্রতি প্রায় ৪৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল।  কিন্তু ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট এক দফায় হবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রথম থেকেই রাজ্য পুলিশে আস্থা রেখেছে। কিন্তু বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানিয়ে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর পক্ষে রায় দেয়। এরপর মামলাটি শীর্ষ আদালতে গেলে সুপ্রিম কোর্টও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর পক্ষেই রায় দেয়। এরপর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে মঙ্গলবার কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠান। প্রতি জেলায় এক কোম্পানি করে অর্থাৎ মোট ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  তবে বুধবার ২০১৩ সালের চেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী এবারের ভোটে   মোতায়েনের নির্দেশ দেয়  কলকাতায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement