মনোনয়নের শেষ দিনেও রক্তারক্তি। বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে নিহত ২। দিনভর গুলি-বোমা-অশান্তিতে নিহত হন ১ তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মী। তৃণমূল এবং ISF একে ওপরের দিকে বোমা এবং গুলি ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ভাঙরের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকির অভিযোগ, তাদের কর্মীকে গুলি করে মারা হয়। সংঘর্ষে দু'পক্ষের ২ জন প্রাণ হারান। মনোনয়ন জমা শুরু হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত ভাঙর।
ভাঙরের কাঁঠালিয়া মোড়ে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রশিদ মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মী। তিনি জীবনতলার বাসিন্দা। তাঁর তিনটি গুলি লেগেছে বলে তৃণমূল দাবি করে। এদিন ভাঙড়ে অশান্তি নিয়ে ISF-কেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ISF দাবি করেছে, তাদের সমর্থককে BDO অফিসের বাইরে দুষ্কৃতিরা হত্যা করে। যখন সে ISF প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়ন দাখিল করতে যাচ্ছিল। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় ২ এলাকায় তৃণমূল এবং ISF-এর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এলাকায় মুহূর্মূহু বোমা বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি সামলাতে শেষমেষ পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। যদিও তারপরও পুরোপুরি এলাকা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করা যায় না। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তোলে ISF-CPIM।