আজ অগ্নিগর্ভ ভাঙড় পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে বারেবারে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবারই কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই অশান্তি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, 'আর কোনও কথা নয়, শুধু অ্যাকশন। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ। কার্যকর পদক্ষেপ, কংক্রিট পদক্ষেপ দেখতে পাবেন। আমি এখন এটুকুই বলতে পারি।'
বৃহস্পতিবার রাতেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অশান্তি প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সেই বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচনের আগে বাংলায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। আমি স্তম্ভিত। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। নির্বাচনে জয় নির্ভর করে ভোটের সংখ্যার উপর। মৃতদেহের সংখ্যার উপর নির্ভর করে নয়। সংবাদমাধ্যমও আক্রান্ত। তার মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত। দেশের সংবিধান আক্রান্ত। নতুন প্রজন্মও আক্রান্ত। শয়তানের এই খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। গণতন্ত্রে মানুষই প্রভু। নির্ভয়ে নিজের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে মানুষের। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও জায়গা নেই।'
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। শেষদিনেই রক্ত ঝরেছে। মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় অশান্ত। বৃহস্পতিবার সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভাঙড়ের কাঁঠালিয়া মোড়ে তৃণমূল এবং আইএসএফ-র মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রশিদ মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মী। তিনি জীবনতলার বাসিন্দা। তাঁর তিনটি গুলি লেগেছে বলে তৃণমূল দাবি করে। অন্যদিকে, ISF দাবি করেছে, তাদের এক সমর্থককে BDO অফিসের বাইরে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতে এক জনের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ এসেছে।