পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চেয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। গত পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগের কথা মাথায় রেখেই পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাদের বক্তব্য ছিল, ২০১৮-র পঞ্চায়েত, একুশের ভোট পরবর্তী সময়ে বাংলায় হিংসার ছবি দেখা গিয়েছিল। সেসব মাথায় রেখেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সিই সিদ্ধান্ত খারিজ করে আদালত।
কিন্তু মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা। পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার হলে তারাই করবে। এখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কোনওভাবেই তা করতে পারে না। নজরদারির কোনও এক্তিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেই।
আজ, শুক্রবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে কমিশনের মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যকেই মান্যতা দেয় উচ্চ আদালত। আদালত জানিয়েছে, নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে পারবে না।
তবে এখনও বাহিনী নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটেনি। আদালতের নির্দেশের পরে পঞ্চায়েত ভোটে ২২টি জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল কমিশন। বুধবার সেই বাহিনী চাওয়া নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যে অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে আনতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। আইনি লড়াইয়ে গিয়ে প্রতিবারই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কমিশনকে। এই আবহে প্রথম বার কোনও আইনি লড়াইয়ে আদালতের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল।