পঞ্চায়েত ভোট মিটেও মিটছে না। এবার হাওড়ার ১৫টি বুথে পুনর্নির্বাচনের জন্য় বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে ফের ভোটগ্রহণ হবে। ভোট হবে সিঙ্গুরের একটি বুথেও। এর মধ্যে রয়েছে হাবড়ার তৃণমূল প্রার্থী মহাদেবের বুথও। হার বুঝে ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলেছিলেন ওই প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সাঁকরাইলের ওই ১৫টি বুথে ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়। তাই ওই বুথগুলিতে ভোট গণনার কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে ওই ১৫টি বুথে ফের নির্বাচন হবে। ভোট গণনার দিন সাঁকরাইলে তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পালের বিরুদ্ধে ব্যালট লুঠের অভিযোগও ওঠে।
ভোটে হারছেন দেখে ব্যালট পেপার খেয়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। তাঁর বুথে নতুন করে ভোট নেওয়ার কথা জানাল নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজ্য়ের আরও ১৯টি বুথে ভোট বাতিল করা হয়েছে। হাবড়া ২-এর ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথের প্রার্থী ছিলেন মহাদেব। মহাদেবের ওই বুথ-সহ মোট ৪টি বুথের ভোট বাতিল হয়েছে এই ব্লকে। এছাড়া ছাড়া সিঙ্গুরে একটি বুথে ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে, ফল প্রকাশিত হলেও ২০টি বুথে ফের পঞ্চায়েত ভোট হবে। তিনটি জেলার তিন ব্লকের ভোট বাতিল হয়েছে। সেগুলি হল- উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই তিন ব্লকেই ব্যালট পেপার নষ্ট করা হয়েছে। সেজন্যই ভোট বাতিল করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বুথে ভোট বাতিল হয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। মোট ১৫টি বুথে ভোট বাতিল করা হয়েছে সেখানে।
তবে এই নির্বাচনকে পুনর্নির্বাচন বলা যাবে না। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী নতুন করে ভোট নেওয়া হবে এই ১৫টি বুথে। অনেকে মনে করছেন, কলকাতা হাইকোর্টে বুথ ধরে ধরে বিরোধীদের যে অভিযোগ জমা পড়েছে, তার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত কমিশনের। কারণ, হাইকোর্ট বিডিও ও ভোট কর্মীদের কাছেও কৈফিয়ত তলব করছে। তাই স্বচ্ছতা প্রমাণের জন্য কমিশনের এই পদক্ষেপ।
ওই পঞ্চায়েতে এগিয়ে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। তিনিই জিততেন বলে জানা যাচ্ছে। ৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হচ্ছে সিপিএম প্রার্থী, তা বুঝতে পেরেই ব্যালট চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটি। এই ঘটনায় হতবাক সিপিএম প্রার্থী থেকে শুরু করে উপস্থিত সকলেই। ওই ঘটনার পর গণনা স্থগিত রাখা হয়েছে। এখনও কাউকে জয়ী ঘোষণা করা হয়নি।