scorecardresearch
 

West Bengal Panchayat Election 2023: কেন্দ্রীয় বাহিনী এত কম কেন? স্বরাষ্টমন্ত্রকের প্রশ্ন কমিশনকে

শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাহায্য করেনি বলেই বাহিনী যথা সময়ে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গে। সহযোগিতা পেলে ভোটের আগে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী হাজির হত বাংলায়। সকাল ৭টার সময় পঞ্চায়েত ভোট শুরু হয় রাজ্যে। সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে হিংসা, বোমাবাজি, গুলি সংঘর্ষ, তার জেরে মৃত্যুর অভিযোগ আসতে শুরু করে।

Advertisement
ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাহায্য করেনি বলেই বাহিনী যথা সময়ে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গে।

শনিবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সাহায্য করেনি বলেই বাহিনী যথা সময়ে আসতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গে। সহযোগিতা পেলে ভোটের আগে ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী হাজির হত বাংলায়। সকাল ৭টার সময় পঞ্চায়েত ভোট শুরু হয় রাজ্যে। সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে হিংসা, বোমাবাজি, গুলি সংঘর্ষ, তার জেরে মৃত্যুর অভিযোগ আসতে শুরু করে।

বুথ দখল, ব্যালট বাক্স নষ্ট করা, ভোট লুটের মতো খবরও আসতে থাকে। এর পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে নিজের ঘরে বসে কমিশনার রাজীব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুপুর ২টো নাগাদ। পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার পর্যন্ত ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছতে পেরেছে। 

কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসতে এত দেরি হল কেন? 
আমরা তো বাহিনী চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম ২২ জুন। তার পর মনেও করিয়েছিলাম বেশ কয়েক বার। তা সত্ত্বেও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী দিতে জুলাই মাসের ৩ তারিখ হয়ে গেল! আমার মনে হয় আরও কিছু আগে বাহিনী এলে সুবিধা হত।’’ তবে একই সঙ্গে রাজীব এ-ও জানান, তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এর জন্য দায়ী করছেন না। তিনি মনে করেন, ওঁদেরও নিশ্চয়ই কোনও অসুবিধা ছিল, তাই দেরি হয়েছে। 

রাজীবের এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি পাল্টা বিবৃতি জারি করা হয়। সন্ধ্যায় ভোট শেষ হওয়ার পর পাল্টা একটি বিবৃতি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে তারা স্পষ্ট জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে দেরি হয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে যথাযথ সহযোগিতা না পাওয়ার কারণেই। কেন এই দায় কমিশনেরই, তাও এক এক করে যুক্তি দিয়ে জানিয়েছে তারা।

কিছু বাহিনীর শনিবার সন্ধ্যাতেও পৌঁছনোর কথা বাংলায়। নোডাল অফিসার কমিশনকে বলেছিলেন, এই বাহিনীকে স্ট্রংরুমের পাহারার জন্য ব্যবহার করা হোক। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কমিশন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য, সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কিছু বাহিনীকে স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করতে রাজি হয়নি কমিশন।

Advertisement

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, যে সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, সেখানে কোনও অশান্তি হয়নি। বরং কোনও বুথ দখলের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখলেই কড়া হাতে দমন করেছে তারা। কিন্তু কোন বুথে কেন্দ্রীয়বাহিনী থাকবে আর কোন বুথে থাকবে না, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেলাশাসক। স্পর্শকাতর বুথগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে আগে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করার কথা ছিল তাদের।

 

Advertisement