পঞ্চায়েত ভোটের ডিউটি নিয়ে নির্দশিকা জারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। তাদের তরফে সমস্ত জেলা শাসক ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কারা ভোটের ডিউটি কোথায় করবেন তা নিয়ে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় উল্লেখ, যাঁরা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক ও প্যারা টিচার তাঁদের ফোর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে কাজে লাগানো হবে না। কমিশন খেয়াল করেছে, পূর্বের ভোটগুলিতে প্যারা টিচার ও প্রাইমারি শিক্ষকদের এই কাজে ব্যবহার করা হত। তবে এবার তা হবে না। এই নির্দেশিকা মানতে হবে সব জেলা প্রশাসনকে। সেই মোতাবেকই দিতে হবে ডিউটি।
এছাড়াও নির্দেশিকাতে উল্লেখ, মেডিক্যাল অফিসারদেরও ভোটের কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে। যদি এমন কোনও পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে তা বাতিল করতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের ডিউটিতে কাজ করানো নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। তখন হাইকোর্ট জানিয়েছিল, চতুর্থ পোলিং অফিসারের নীচের কোনও পদে সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ অন্য অন্য অস্থায়ী কর্মীদের রাখা যেতে পারে। এই নিয়মের যে অন্যথা হবে না, তা স্পষ্ট করে দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মহিলা পরিচালিত বুথে মহিলা ভোটকর্মী নিয়োগ করা হবে। সেখানে কোনও পুরুষ ভোটকর্মী থাকবেন না। এই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাদের তরফে জানানো হয়, রাজ্যে সরকারি কর্মচারীর অভাবের জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টও বহাল রাখার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রতি জেলার জন্য এক কোম্পানি করে বাহিনী চেয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সেই বাহিনী এখনও রাজ্যে আসেনি। তার আগেই রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনী নামানো হচ্ছে। ছয় কোম্পানি বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী নামানো হচ্ছে বলে খবর।