'আদালত নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না।' পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এ দিনও উত্তপ্ত ভাঙড়। ভাঙড় ২ বিডিও অফিসের সামনে পড়েছে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা। অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় মনোনয়ন পেশ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক সিপিএম কর্মীর। বিষয়টি প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাম এবং কংগ্রেসের আইনজীবীরা। তাঁদের আর্জি, এ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করুক আদালত।
স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এনিয়ে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের পর্যবেক্ষণ, এখনও পর্যন্ত স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি কমিশন। সেক্ষেত্রে আদালত গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়ে দেবে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের আরও পর্যবেক্ষণ, মামলার রায় কার্যকর না করা হলে নীরব দর্শক হয়ে থাকে না আদালত।
ভোট হিংসায় রাজ্যে আরও একটা মৃত্যু। চোপড়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারালেন এক সিপিএম কর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তিনজন। বাম-কংগ্রেস আইনজীবীরা আর্জি করেন, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। চোপড়ার ভিডিও দেখাতে চান বিচারপতিকে। বিজেপির আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন,'ভোট পরবর্তী হিংসায় কী হয়েছে আশা করি জানেন। মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। মহিলাদের মারধরা করা হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরে ছিলাম। এসপিকে ফোন করেও কিছু হয়নি। বাংলায় কি নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি আছে?'
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনীজীবী জানান,'নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। মুখ্যসচিব, পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ডিজি-র সঙ্গে বৈঠক হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের।' ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন,'কী হচ্ছে এসব? আপনারা ৯ জুন বৈঠক করেছেন। আজ ১৫ জুন।'