scorecardresearch
 

Panchayat Election Results 2023: সব জেলা পরিষদেই সবুজ-ঝড়, যোজন পিছিয়ে দ্বিতীয় BJP

ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে সব স্তরেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাধান্য স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে। ঘাসফুলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

Advertisement
 ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে সব স্তরেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাধান্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে সব স্তরেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাধান্য

বিধানসভা ও পুরভোটের মতোই এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বাংলা জুড়ে সবুজ ঝড়।  প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, এরপর পঞ্চায়েত সমিতি ও সব শেষে জেলা পরিষদের ভোট গণনা হচ্ছে। মঙ্গলবার গণনা শুরু হলেও গণনা চলছে  ১২ জুলাই অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত। প্রত্যেক স্তরে দু রাউন্ড করে অর্থাৎ মোট ৬ রাউন্ড গণনা হচ্ছে। আর এই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটে সব স্তরেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাধান্য স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে। ঘাসফুলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। 

এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী,  মোট ৯২৮টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এখন পর্যন্ত ৬০৮টি আসন জিতেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এগিয়ে রয়েছে ১৮০টি  আসনে। অন্যদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এখনও পর্যন্ত ১৯টি জেলা পরিষদ আসন জিতেছে এবং ৮টিতে এগিয়ে রয়েছে। যেখানে সিপিএম জিতেছে ২টি আসনে এবং এগিয়ে রয়েছে ১টি আসনে। কংগ্রেস এখন পর্যন্ত ৬টি আসনে জিতেছে এবং ৬টিতে এগিয়ে রয়েছে।

উত্তরবঙ্গে আশানুরূপ ফল না হলেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকাররীর  ঘাঁটি নন্দীগ্রাম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যান্য জায়গার এবার বিজেপি ভালো পারফর্ম করেছে। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের চেয়ে বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করেছে। তবে বিজেপির ঘাঁটি বলে পরিচিতি  উত্তরবঙ্গে এবার গেরুয়া শিবিরের  পারফরম্যান্স হতাশাজনক। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, বিজেপি উত্তরবঙ্গের ৮টি আসনের সবকটি জিতেছিল, এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও, বিজেপি উত্তরবঙ্গে বিশাল সাফল্য পেয়েছিল।

আরও পড়ুন

তবে, ২০২৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তুলনায়, বিজেপি এবার রাজ্যে ভাল পারফর্ম করেছে। অন্যদিকে অন্যান্য জেলার তুলনায় মুর্শিদাবাদ ও মালদায় সিপিএম ও কংগ্রেসের ফল কিছুটা ভালো। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা এখনও চলছে এবং সম্পূর্ণ ফলাফল আসতে আরও সময় লাগবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, জঙ্গল মহল থেকে মতুয়াগড়, উত্তরবঙ্গ থেকে সুন্দরবন, বগটুই থেকে সিঙ্গুর, সর্বত্র তৃণমূলের জয়জয়কার। বিরোধীদের দাবি, সন্ত্রাস করে জয় পেয়েছে তৃণমূল। খুন, হুমকির রাজনীতি করছে শাসকদল। আর তৃণমূলের দাবি, একেবারে তৃণমূল স্তরে উন্নয়নকে পৌঁছে দিয়েছিল সরকার। তার সুফল ঘরে তুলেছে তৃণমূল। কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছেন বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয়ের পরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বার্তা দিয়েছেন, ‘সকল মা মাটি মানুষকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। গ্রামবাংলার পুনরায় বিকশিত জোড়াফুল। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের অভূতপূর্ব সমর্থন, অকুণ্ঠ ভালোবাসা এবং অপার আশীর্বাদে আমি তথা আমার গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার কৃতজ্ঞ। এই জয় আমার প্রণম্য গণদেবতার জয়। এই নির্বাচন আবারও প্রমাণ করল বাংলার মানুষের হৃদয়ে তৃণমূল কংগ্রেসই আসীন। সেই সঙ্গেই তাঁর বার্তা, জনগণের পঞ্চায়েত গঠনে আমাদের দল সর্বদা বদ্ধপরিকর। সাধারণ মানুষের উন্নতিকল্পে আমি এবং আমাদের দলের প্রত্যেকটি  সদস্য সদা নিবেদিতপ্রাণ। এই গণতান্ত্রিক রায়কে শিরোধার্য করে আমরা সকলে একসঙ্গে আমার প্রিয়  বাংলার উন্নয়ন এবং প্রগতির জন্য কাজ করে থাকে।’

Advertisement