জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, যখন দুই বা ততোধিক গ্রহ একই রাশিতে থাকে বা এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে প্রবেশ করে, তখন যে যোগের সৃষ্টি হয় তাকে যুতি যোগ বলে। কোনও কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধরনের যোগের খুব ভাল প্রভাব পড়ে, আবার কারও কারও ক্ষেত্রে ততটা প্রভাব দেখা যায় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক অঙ্গারক যোগ সম্পর্কে।
কিভাবে তৈরি হয় অঙ্গারক যোগ?
মঙ্গল কয়েকদিন আগে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে, আর রাহু আগে থেকেই সেখানে বসে ছিল। এমতাবস্থায় মেষ রাশিতে মঙ্গল ও রাহু একত্রে অঙ্গারক যোগ তৈরি হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, অঙ্গারক একটি অশুভ যোগ। ৩৭ বছর পর এই যোগ তৈরি হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যদি কোনও গ্রহ তার নিজস্ব রাশিতে থাকে, তবে সেই সময়টিকে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। মঙ্গল মেষ রাশির অধিপতি এবং মঙ্গলে রাহু থাকার কারণে অঙ্গারক যোগ তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে, অঙ্গারক যোগ কিছু রাশির জন্য প্রভূত অসুবিধা তৈরি করতে পারে। তবে কিছু রাশি আবার এর থেকে মুক্তিও পায়। ৩৭ বছর পর তৈরি এই অঙ্গারক যোগের কারণে বৃষ, সিংহ ও তুলা রাশির মানুষদের বড়সড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
তবে গণনা অনুসারে, গত ১০ অগাস্ট মঙ্গল নিজের রাশি ছেড়ে বৃষতে গিয়েছে। যার ফলে রাহুর সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের সংযোগ শেষ হয়েছে। তাই মেষ রাশিতে ৩৭ বছর পরে গঠিত অঙ্গারক যোগও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হয়েছে। আর সেই একই কারণে বৃষ, সিংহ ও তুলা রাশিতে অঙ্গারক যোগের প্রভাবও আপনাআপনিই শেষ হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন - দ্বাদশ পাশে ITBP-তে সাব-ইনস্পেক্টর পদে নিয়োগ, আবদনের লিঙ্ক রইল