নতুন বছরে আমরা ইতিমধ্যেই পা দিয়ে ফেলেছি। এই ২০২৪ শনির বছর। নতুন বছরকে ঘিরে প্রত্যেকেরই অনেক আশা-প্রত্যাশা রয়েছে। জীবনে উন্নতি ও সাফল্যের মুখ দেখতে হলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। আর নতুন বছরে ভালো কিছু হতে হলে এই বছর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা দরকার। তাই নতুন বছরের শুরু থেকেই অপয়া দিনগুলি জেনে রাখা ভাল। সেদিন কখনও গ্যাসে কড়াই চাপাবেন না। এমনকি রুটি তৈরি করাও নিষিদ্ধ। এদিন গ্যাসে কড়াই বা প্যান গরম করা তা অশুভ বলে মনে করা হয়।
হিন্দু ধর্মে মা লক্ষ্মীর পুজো সহ একাধিক পুজো-উৎসবে রুটি তৈরি নিষিদ্ধ বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়া, পিতৃপক্ষের তর্পণ করার দিনেও রুটি তৈরি করা ও প্যান গরম করা নিষিদ্ধ। প্রথা মেনে এদিন শুকনো খাবার ও ফলমূল খাওয়া উচিত। রান্নাঘরে আগুন না জ্বালানোই নিয়ম। তাই নতুন বছরে কোন কোন দিনগুলি অপয়া, কোন কোন দিনগুলিতে রুটি বানানো নিষিদ্ধ, তা জেনে নিন এখনই।
মকর সংক্রান্তি, ১৫ জানুয়ারি
২০২৪ সালে মকর সংক্রান্তি পালন করা হবে ১৫ জানুয়ারি। এই বিশেষ দিনে খিচুড়ি খাওয়ার রীতি রয়েছে। চাল থেকে তৈরি যে কোনও খাবার এইদিন খাওয়া যেতে পারে। মকর সংক্রান্তিতে তাই রুটি বানানো নিষিদ্ধ।
শীতলাষ্টমী, ২ এপ্রিল
এই বছর ২ এপ্রিল শীতলা অষ্টমী উৎসব পালন করা হবে। ওই দিন শীতলাদেবীকে বাসি খাবার অর্থাৎ ঠান্ডা খাবার নিবেদন করাই রীতি। শীতলা অষ্টমীতে রান্নাঘরে গ্যাস জ্বালানো নিষিদ্ধ। বাড়ির সকলেই কেবল শীতলাদেবীকে দেওয়া প্রসাদই গ্রহণ করে থাকেন। এ কারণে শীতলা অষ্টমীর দিনে রুটি তৈরি করা হয় না। তাজা খাবার রান্না করাও নিষিদ্ধ।
নাগ পঞ্চমী, ৯ অগাস্ট
এই বছর নাগ পঞ্চমী পালিত হবে ৯ অগাস্টে। সেদিন রান্নাঘরে রুটি বানাবেন না। তা অশুভ মনে করা হয়। এদিন পুরি ও হালুয়া তৈরি করাই নিয়ম রয়েছে।
শারদ পূর্ণিমা, ১৬ অক্টোবর
নতুন বছরের শারদ পূর্ণিমা পালিত হবে ১৬ অক্টোবর। শারদ পূর্ণিমাতেও রুটি বানানো উচিত নয়। ওই দিন চন্দ্র ও লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। দেবী লক্ষ্মী সম্পর্কিত উৎসবগুলিতে রুটি তৈরি করা উচিত নয়।