হিন্দুধর্ম অনুসারে সপ্তাহের এক একটি দিন এক একজন দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। সেই হিসেবে মঙ্গলবার হল বজরংবলীর দিন। সংকট মোচন হনুমানের আরাধনা করলে তাঁর কৃপায় সব বাধা বিঘ্ন দূর করা যায় ও মনের ভয় কাটানো সম্ভব হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। খারাপ সময় চললে প্রতি মঙ্গলবার হনুমান চালিশা পাঠ করার পরামর্শ দেন জ্যোতিষবিদরা। তবে হনুমান চালিসা পাঠ করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। জেনে নিন কোন সময়ে এবং কোন নিয়ম মেনে হনুমান চালিসা পাঠ করলে প্রচুর উপকার পাওয়া যায়।
তুলসীদাসজি ৪০ দোহা বা চৌপাইয়ে হনুমান চালিসা রচনা করেছিলেন। মনে করা হনুমান চালিসা পাঠ বজরংবলীকে খুশি করার সবচেয়ে সহজ উপায়। বজরংবলী হলেন শক্তি, ক্ষমতা ও সাহসের প্রতীক। দীর্ঘদিন ধরে রোগে আক্রান্ত থাকলে হনুমান চালিসা পাঠ করে সুফল পেতে পারেন। এর ফলে স্বাস্থ্যোন্নতি হবে এবং শারীরিক সমস্যাও ক্রমশ কমতে থাকবে।
হনুমান চালিসা পাঠের নিয়ম
-ব্রহ্মমুহূর্তে অর্থাৎ সূর্যোদয়ের আগে হনুমান চালিসা পাঠ করুন। সূর্যাস্তের পরেও পাঠ করতে পারেন। দিনের বেলা হনুমানজি নিজে শ্রীরামের আরাধনায় মগ্ন থাকেন বলে মনে করা হয়।
-হনুমান চালিসা পাঠ করার আগে অবশ্যই ১০৮ বার রাম নাম করে নেবেন।
-পাঠ শুরু করার আগে দেশি ঘি-এর একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে নিন।
-তাড়াহুড়ো করে হনুমান চালিসা পাঠ করার প্রয়োজন নেই। প্রতিটি শব্দ যেন জোরে ও স্পষ্ট ভাবে উচ্চারিত হয়।
-মুখস্থ থাকলেও হনুমান চালিসা বই থেকেই পাঠ করুন।
-পাঠ করার সময় সামনে এক গ্লাস জল রাখুন। কারণ বলা হয়ে থাকে হনুমান চালিশা পাঠ করার সময় একটা তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। এই তরঙ্গ ও গ্লাসের জল শোষণ করে। তাই পাঠ শেষে ওই জল আপনি পান করলে পজিটিভ ভাইব্রেশন আপনার মধ্যে প্রবেশ করবে।
-হনুমান চালিসা পাঠ করার আগে স্নান করে স্বচ্ছ পোশাক ধারণ করুন। এর পর গঙ্গাজল দিয়ে বজরংবলীকে স্নান করান।
-হনুমান চালিসা পাঠের জন্য লাল রঙের আসন ব্যবহার করবেন।