পঞ্জিকা গণনা অনুসারে, ১২ বছর পর গুরু আদিত্য যোগে ভগবান হনুমানজির জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে ৬ এপ্রিল চৈত্র পূর্ণিমায়। জ্যোতিষীদের মতে, হনুমান জন্মবার্ষিকীতে মঙ্গল, শনি এবং রাহু-কেতুর সামঞ্জস্যের জন্য হনুমানজির পূজা বিশেষ ফলদায়ক। হনুমানজির আবির্ভাব দিবসে ১২ বছর পর গুরু আদিত্যের মিলন তৈরি হচ্ছে, যা সবচেয়ে উন্নত যোগ। গএই হিসেব মাথায় রেখে গুরু আদিত্যের এই সংযোগের ঘটনা ১২ বছর পর হনুমানজির আবির্ভাব দিনে ঘটছে। বিশেষ পুজো এতে উপকারী বলে মনে করা হয়।
কলিযুগে হনুমানজি অমর। প্রতি বছর চৈত্র শুক্লা পূর্ণিমা তিথিতে হনুমানজির জন্মদিন পালন করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই শুভ দিনে মা অঞ্জনির গর্ভ থেকে হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। ৫ এপ্রিল সকাল ৯.১৯ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে। এটি শেষ হবে ৬ এপ্রিল সকাল ১০.৪ মিনিটে।
৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শ্রীরাম ভক্ত হনুমানজির জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, চৈত্র শুক্লা পূর্ণিমায় হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। হনুমান জয়ন্তীতে পুজো করলে সাধারণ উপকারের ১১ গুণ বেশি পাওয়া যায়। পঞ্জিকা গণনা অনুসারে, ১২ বছর পর গুরু আদিত্য যোগে ভগবান হনুমানজির জন্মবার্ষিকী পালিত হবে ৬ এপ্রিল চৈত্র পূর্ণিমায়। ৬ এপ্রিল সকাল ৬:০৬ মিনিচ থেকে ৭:৪০ মিনিট পর্যন্ত বজরংবলীর পুজোর শুভ সময়। এই দিনের অভিজিৎ মুহুর্তা দুপুর ১২:০২ মিনিট থেকে ১২:৫৩ মিনিট পর্যন্ত।
জন্ম তালিকায় মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতুর সামঞ্জস্যের জন্য উপাসনা
মঙ্গল, শনি, রাহু ও কেতু যদি বিপরীত অবস্থায় থাকে বা সমস্যা সৃষ্টি করে বা এই মহাদশা, অন্তর্দশা বা প্রত্যন্তর দশা চলছে, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে অনুকূল ফল পেতে হনুমানজির বিভিন্ন স্তোত্র পাঠ করে গ্রহগুলিকে প্রসন্ন করতে পারেন। এটিও একটি শাস্ত্রীয় বিশ্বাস যে হনুমানজির প্রসন্নতায় মঙ্গল, শনি, রাহু, কেতুর অশুভ প্রভাব দূর হয়। অর্থাৎ এই চারটি গ্রহের প্রভাব ইতিবাচক হতে শুরু করে। এই বিবেচনায়, হনুমানজির বিভিন্ন স্তোত্র পাঠ করে পূজা করা উচিত।
ভগবান হনুমান হলেন ভগবান শিবের ১১ তম অবতার
হনুমান রামের ভক্ত। ভগবান হনুমানকে কলিযুগের দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে হনুমান জি ভগবান শিবের ১১তম অবতার। চিরঞ্জীবী হতে পেরে তিনি ধন্য। হনুমান জয়ন্তীর দিনটিকে পূজা করে হনুমানকে খুশি করার জন্য শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। ভক্তদের এই দিনে হনুমানজিকে খুশি করার জন্য রামায়ণ, রামচরিত মানস, সুন্দরকাণ্ড, হনুমান চালিসা, বজরং বান, হনুমান বাহুক ইত্যাদি পাঠ করা উচিত। গুরু আদিত্য যোগের কারণে এই বছর হনুমান জয়ন্তীর উৎসব খুব বিশেষ হতে চলেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন রাশির জাতকরা এই শুভ যোগের উপকার পাবেন।
বৃষ রাশি (Taurus)
গুরু আদিত্য যোগ বৃষ রাশির জাতকদের জন্য খুব শুভ ফল দিতে চলেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে। আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
কন্যা রাশি (Virgo)
কন্যা রাশির জাতকরাও এই শুভ যোগে লাভবান হবেন। ভাগ্যের পূর্ণ সমর্থন পাবেন। আকস্মিক ধন লাভের যোগ তৈরি হচ্ছে। আপনার আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সম্মান বাড়বে। স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। বন্ধুবান্ধব ও অত্মীয়দের সহযোগিতা পাবেন।
মকর রাশি (Capricorn)
গুরু আদিত্য যোগ আপনার জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়। অর্থ লাভ হবে। ব্যবসায়ী শ্রেণির জন্য সময়টি খুব অনুকূল হবে। অংশীদারি ব্যবসায় লাভ হবে। অবিবাহিতদের বিয়ের যোগ রয়েছে। আপনি শিঘ্রই ভাল সম্বন্ধ খুঁজে পেতে পারেন।
কুম্ভ রাশি (Aquarius)
কুম্ভ রাশির জাতকরা অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবেন। ঋণ ও ব্যয় সংক্রান্ত সংস্যা এড়ানো যাবে। ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়বে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)