বিপদে পড়লে হনুমানজির স্মরণাপন্ন হলে তিনি ভক্তদের বাঁচাতে অবশ্যই আসেন। হনুমানজি ভক্তদের ডাকে সহজেই সাড়া দিয়ে থাকেন। হনুমান ভক্তরাও তাঁর কৃপা পাওয়ার জন্য হনুমান চল্লিসা, বজরং বাণ পাঠ করে থাকেন। লাল ফুল আর লাড্ডুতেই সন্তুষ্ট হন হনুমানজি। প্রত্যেক মঙ্গল ও শনিবার করে হনুমানজির পুজো করলে তিনি ভক্তদের সব সঙ্কট থেকে দূরে রাখেন। কয়েকটি রাশি ভগবান হনুমানের বড় প্রিয়। তাঁরা সবসময় বজরঙ্গবলীর সুনজরে থাকে সৎ পথে থাকলে। আসুন তাহলে জেনে নিই সেই রাশিগুলো কারা।
সিংহ রাশি
সিংহ রাশির জাতকরা ভক্তিভরে ভগবান হনুমানের পুজো করলে সহজে সাড়া পান। সিংহ রাশির জাতক জাতিকাদের শাসক গ্রহ হল সূর্য । এই রাশির জাতকরা সত্যিকারের মন দিয়ে হনুমানের পুজো করলে হনুমানজি তাঁদের দয়া করে থাকেন। এই রাশির জাতকেরা বজরংলীর কৃপায় যে কোনও চ্যালেঞ্জ সহজেই নিয়ে নেন। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার করে এই রাশির জাতকদের হনুমানজির পুজো করা দরকার।
বৃশ্চিক রাশি
বৃশ্চিক রাশির অধিপতি মঙ্গল । এই গ্রহের দেবতা হনুমানজি। তাঁদের মধ্যে বজরঙ্গবলীর মতো সাহস ও বীরত্ব আছে। এঁদের যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষমতা থাকে । বৃশ্চিক রাশির জাতকরা হনুমানজির পুজো করলে সাড়া পান সহজেই। শুধু যেভাবে পুজো করবেন, যেটুকু করবেন, সেটা ভক্তিভরে করুন। মঙ্গল ও শনিবার রাতে শোওয়ার আগে তিনবার করে হনুমান চল্লিসা পড়লে ভাল ফল পাবেন।
মকর রাশি
মকর রাশির জাতক জাতিকারা শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং পরিশ্রমী হয়। হনুমানজির প্রতি তাদের গভীর ভক্তি থাকে। মকর রাশির শাসক গ্রহ হলেন শনি। মকর রাশির জাতকরা হনুমানজির প্রতি অটুট আনুগত্য রাখে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কোনও কাজে সাফল্য পেতে ভগবান হনুমানকে একটি লাল পতাকা অর্পণ করুন। এই ত্রিভুজ আকৃতির পতাকা অর্পণের আগে ভগবান রামের নাম লিখুন তাতে। মন্দিরে এরকম পতাকা উত্তোলন করলে কাজে বাধা দূর হবে।
ধনু রাশি
ধনু রাশির জাতক জাতিকাদের হনুমানজির প্রতি প্রকৃত ভক্তি থাকে। এই গ্রহের অধিপতি বৃহস্পতি। তিনি জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার কারক। অতএব,ধনু রাশির জাতকদের মধ্যে আধ্যাত্মিকভাব প্রবল। ধনু রাশির জাতক জাতিকারা পূর্ণ হৃদয় ও ভক্তি সহকারে হনুমানজীর পুজো করেন । তাঁরা হনুমানজির আশীর্বাদও পান সহজে। এর মাধ্যমে তাঁদের জীবনের অনেক সমস্যা সহজেই সমাধান হয়ে যায়।