সোমবারকে মহাদেবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে শিবের উপাসনা করলে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এই দিনে শিবের অভিষেক (রুদ্রাভিষেক) করলে ভক্তদের প্রতিটি ইচ্ পূরণ হয়। কথিত আছে যে শিবের কৃপায় জীবনের সব সংকট থেকে মুক্তি মেলে। যদিও মহাদেব তাঁর প্রতিটি ভক্তের কষ্ট দূর করেন। জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন ৪টি রাশির কথা উল্লেখ আছে যাঁদের উপর থাকে শিবের বিশেষ আশীর্বাদ।
মেষ রাশি- জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে মেষ রাশির অধিপতি মঙ্গল। মঙ্গলকে শিবের অংশ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে শিবের কৃপা থাকে এই রাশির জাতক-জাতিকারা জীবনে। তাঁরা বিশেষ আশীর্বাদ পান। মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা শিবলিঙ্গে অভিষেক করলে সমস্ত বাধা ও ঝামেলা দূর হয়।
বৃশ্চিক রাশি- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে বৃশ্চিক রাশির অধিপতি মঙ্গল। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর শিবের বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি প্রতি সোমবার শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করেন, তাহলে ভোলে বাবার কৃপায় তাঁদের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যায়। এ ছাড়া সব ধরনের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মকর রাশি- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মকর রাশি শিবের অন্যতম প্রিয় রাশি। এই রাশির অধিপতি হলেন শনিদেব যিনি শিবের প্রিয় ভক্ত। তাই মকর রাশির মানুষদের উপর শিবের বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এই রাশির জাতক-জাতিকারা যদি সোমবার শিবলিঙ্গে বেলপত্র, গঙ্গাজল এবং গরুর দুধ নিবেদন করেন তাহলে তাঁদের সমস্ত ঝামেলা দূর হয়। সব কাজে সাফল্যও পান।
কুম্ভ রাশি- কুম্ভ রাশির অধিপতিও শনিদেব। এই কারণেই শনির বিশেষ আশীর্বাদের পাশাপাশি এই রাশির জাতক-জাতিকাদেরও শিবের কৃপাও পান। এই রাশির জাতক-জাতিকারা শিবের উপাসনা করলে তাঁরা সহজেই মহাদেবের কৃপা পান। প্রতি সোমবার শিবলিঙ্গকে রুদ্রাভিষেক করান।