জ্যোতিষশাস্ত্রে ১২ রাশি ও ২৭ নক্ষত্রের কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি রাশির উপর থাকে এক একটি গ্রহের আধিপত্য। তারাই ওই রাশির অধিপতি। এজন্য প্রতিটি রাশির জাতক-জাতিকাদের ভাগ্যও আলাদা হয়। প্রতিটি রাশির ব্যক্তিত্ব একেক রকম। তেমনই প্রতিটি রাশির সাফল্য পাওয়ার সময়ও আলাদা। এমন কয়েকটি রাশি রয়েছে যারা কেরিয়ারের শুরুতেই পায় সাফল্য। আবার কয়েকটি রাশির সাফল্য পেতে পেতে ৩০ পেরিয়ে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকারা ৩০ বছর বয়সের পর সাফল্য পায়-
কন্যা রাশি- এই রাশির জাতক-জাতিকাদের কপাল খোলে ৩০ বছর বয়সের পরে। এই রাশির ডাতক-জাতিকারা ব্যবসায়িক মানসিকতাসম্পন্ন হন। তাঁরা ব্যবসা করলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা নিজের কাজের ব্যাপারে খুবই পরিশ্রমী এবং সৎ হন। ৩০ বছর বয়সের পরে এই রাশির জাতক-জাতিকারা খুব ধনী হয়ে যান। তাঁরা ভাল নেতাও হন ৩০ বছর বয়সের উর্ধ্বে। তাঁদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণ বিকশিত হয় ৩০-র পরে। এই রাশির জাতক-জাতিকারা হন বুদ্ধিমান এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। এই রাশির জাতক-জাতিকারা পৈতৃক সম্পত্তি থেকে সুবিধা পান। যা ৩০ বছর বয়সের পরে প্রবল হয়। এই রাশির জাতক-জাতিকারা পান শনিদেব ও বুধ দেবের বিশেষ আশীর্বাদ। ফলে পরিশ্রম করলে সুফল পান শনির কারণে। আর বুধের কারণে তাঁরা হন বুদ্ধিমান।
মকর রাশি- এই রাশির জাতক-জাতিকাদের এমন যোগ রয়েছে যে কারণে তাঁদের ভাগ্য ৩০-এর পরে উজ্জ্বল হয়। এই রাশির অধিপতি হলেন শনিদেব। শনিদেব ব্যক্তিকে খুব ধীরে ফল দেন। কিন্তু সেই ফল আজীবন থেকে যায়।
এই রাশির জাতক-জাতিকারা ৩০ বছর বয়সের পারে পান সাফল্য। তাঁরা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী হন। অত্যন্ত পরিশ্রমীও হন তাঁরা। তাঁদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা সাফল্য এনে দেয়।
কুম্ভ রাশি- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কুম্ভ রাশি জাতক-জাতিকারা ৩০ বছর বয়সের পরে বিশেষ সাফল্য পান। এই রাশির জাতক-জাতিকারা ৩০ বছর বয়সের পর চাকরি এবং ব্যবসায় অগ্রগতি পান। তাঁরা অর্থ সঞ্চয় করতে অত্যন্ত পারদর্শী। তাঁদের জেতার প্রচণ্ড খিদে। তাঁরা অন্যদের থেকে আলাদা হন। এই রাশির জাতক-জাতিকারা মাল্টিটাস্ করেন। সঙ্গীদের খুব ভালবাসেন তাঁরা। এই রাশির জাতক-জাতিকারা যে লক্ষ্য নিয়েই ভাবুন না কেন, তা অর্জন করেই ছাড়েন। কুম্ভ রাশির অধিপতি হলেন শনিদেব। ফলে বাধাবিঘ্ন কাটান বড়বাবা। অনেক পরিশ্রমের পর সাফল্য মেলে। কিন্তু সেই সাফল্য হয় বিশাল। সারাজীবন তা থেকে যায়।