জ্যোতিষ অনুযায়ী, ৯টি গ্রহের মধ্যে ষষ্ঠ গ্রহ হল শনি। এই গ্রহটি বৃহস্পতির পর দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। শনি ন্যায়ের দেবতা। কর্ম অনুযায়ী ফলদান করেন। এক রাশি থেকে সেই রাশিতেই ফিরতে শনির সময় লাগে ৩০ বছর। শনির গতিবিধির কারণে বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের জীবনে দেখা দেয় সাড়ে সাতি। রাশি পরিবর্তন করতে শনিদেবের প্রায় আড়াই বছর সময় লাগে। শনির রাশি পরিবর্তনের কারণে কোনও না কোনও রাশিতে সাড়ে সাতি শুরু হয়। তখন অন্য রাশি মুক্তি পায় সাড়ে সাতি থেকে। সাড়ে সাতির সঙ্গে থাকে ঢাইয়ার প্রভাবও। বর্তমানে শনি কুম্ভ রাশিতে বিপরীতমুখী অবস্থান করছে। শনির সাড়ে সাতিকে অশুভ বলে মনে করা হয়। এই সময় ব্যক্তির জীবনে নেমে আসে সমস্যা ও বাধা। সাফল্য পেতে কাঠখড় পোড়াতে হয়। আগামী ১০ বছরে দেখা যাবে শনির অশুভ প্রভাব। এই সময়ে জীবনে সমস্যা আসতেই থাকে। আগামী ১০ বছর ৪ রাশিতে থাকবে শনির অশুভ প্রভাব।
২০২৫ সালে কোন কোন রাশির উপর শনির প্রভাব কী পড়বে?
গত বছর ২০২৩ সালে কুম্ভ রাশিতে পাড়ি দিয়েছিল শনি। কুম্ভ রাশিতে শনির গোচরের কারণে মকর, কুম্ভ ও মীন রাশিতে এখন শনির সাড়ে সাতি চলছে। কর্কট ও বৃশ্চিক রাশিতে শনির ঢাইয়া চলছে।
২০২৫ সালে ২৯ মার্চ মীন রাশিতে প্রবেশ করবেন শনিদেব। শনির গমনের সঙ্গে সঙ্গেই মেষ রাশির জন্য শনির সাড়ে সাতির প্রথম পর্ব, মীন রাশির জন্য দ্বিতীয় পর্ব এবং কুম্ভ রাশির জন্য শেষ পর্ব শুরু হবে। মকর রাশির জাতক-জাতিকারা শনির সাড়ে সাতি থেকে মুক্তি পাবেন।
২০২৬ সালে শনির রাশি পরিবর্তন হবে না। ২০২৭ সালের ৩ জুন রাশিবদল করবে শনি। মেষ রাশিতে প্রবেশ করবেন বড়বাবা। ২০২৮ সালে শনির রাশি পরিবর্তন হবে না। আবার ২০২৯ সালের ৮ অগাস্ট শনির ট্রানজিট ঘটবে। এই দিনে শুক্রের রাশিতে প্রবেশ করবে শনি। পঞ্জিকা অনুযায়ী, শনি মেষ রাশিতে বক্রী হবে। তারপর আবার শুক্র বৃষ রাশিতে আসবে।
২০৩০ সালে শনি বৃষ রাশিতে থাকবে। ২০৩১ সালে শনি অন্য কোন রাশিতে যাবে না। ২০৩২ সালে শনির রাশি পরিবর্তন ঘটবে। ওই বছর ৩১ মে মিথুন রাশিতে গমন করবে। ২০৩৩ সালে শনি তার রাশি পরিবর্তন করবে না। ২০৩৪ সালে শনির রাশি পরিবর্তন ঘটবে। ১৩ জুলাই কর্কট রাশিতে প্রবেশ করবে শনি।
শনিকে কীভাবে খুশি করবেন?
শনিকে খুশি করতে এবং ক্রোধ এড়াতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। শনিবার অশ্বত্থ গাছ এবং শমী গাছের পুজো করা উচিত। সন্ধ্যায় সর্ষের তেলে কালো তিল মিশিয়ে গাছের সামনে প্রদীপ জ্বালান। এছাড়াও শনিবার অশ্বত্থ গাছ এবং শমী গাছে জল অর্পণ করুন। প্রতিদিন হনুমান চালিসা, শনি চালিসা এবং শিব চালিসা পাঠ করেও শনিদেবকে খুশি করা যায়। শিব ও হনুমানের পুজো করুন।