জ্যোতিষশাস্ত্রে, শনিকে কর্ম বা ন্যায়ের দেবতা বলা হয়। নয়টি গ্রহের মধ্যে শনি সবচেয়ে ধীর গতিতে রাশিচক্র পরিবর্তন করে। শনি প্রায় আড়াই বছরে এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে যায়। যখনই শনি তার নক্ষত্র বা রাশিচক্র পরিবর্তন করে, তখনই সব রাশির জীবনে বিশেষ কিছু ঘটে। শনি ফের তার রাশি পরিবর্তন করতে চলেছে। বর্তমানে শনিদেব গুরুর নক্ষত্র পূর্বভাদ্রপদে বিচরণ করছেন। তবে এখন তিনি রাহুর রাশিতে গমন করতে চলেছে।
জ্যোতিষশাস্ত্রে রাহু গ্রহটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শনির পর সবচেয়ে ধীর গতিশীল গ্রহ হল রাহু। রাহুর প্রভাবকে শনির প্রভাবের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এক রাশি থেকে অন্য রাশিতে যেতে প্রায় দেড় বছর সময় লাগে রাহুর। শনি একটি ন্যায়-প্রেমী গ্রহ, যার কাজ মানুষকে তাদের কর্ম অনুসারে ফল দেওয়া। রাহুর রাশিতে শনির প্রবেশ এমন কিছু ঘটনার ইঙ্গিত দেয়, যা কল্পনা করা কঠিন।
জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি ও রাহু মিলে পিশাচ যোগ গঠন করে। যদিও শনি কঠোর পরিশ্রমের কারণ, রাহু এমন একটি গ্রহ যা সর্বদা বিভ্রান্তি ছড়ায়। এ কারণে যখনই কোনও ব্যক্তির জীবনে এই যোগ তৈরি হয়, তখনই তাকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কুণ্ডলীতে পিশাচ যোগ থাকলে সেই ব্যক্তি সফলতা পায় না।
শনির নক্ষত্র পরিবর্তন
জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গণনা এবং হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ৩ অক্টোবর ২০২৪ দুপুরে ১২:১০ মিনিটে শনি পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্র থেকে শতভিষা নক্ষত্রে গমন করবে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে। অন্যদিকে জ্যোতিষ শাস্ত্রে, শতভিষা নক্ষত্রের অধিপতি রাহু। আর শনি হল এর রাশির অধিপতি। শতভিষা হল আকাশের ২৪তম নক্ষত্র। এটি কুম্ভ রাশির অধীনে আসে। এই নক্ষত্রের দেবতা বরুণ, যিনি ঝড়-বৃষ্টির কারণ।
রাশিচক্রে শনির নক্ষত্র গোচরের প্রভাব
শতভিষা নক্ষত্রে আসা প্রেম জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। যারা প্রেমের সম্পর্কে আছেন তাদের সাবধান হওয়া উচিত। এটি আপনার জন্য ভাল সময় নয়। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সৎ থাকুন। ব্রেকআপের পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। ভুল করবেন না। বিবাহিত জীবনে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই সম্পর্কের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং সন্দেহের মতো বিষয়গুলিকে আসতে দেবেন না। অফিসে চলমান অশান্তি থেকে মুক্তি পাবেন। যারা কাজ করেন ন, তারা সমস্যায় পড়তে পারেন। যারা সততা ও পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের কাজ করেন, তারা কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যায় পড়বেন না।
দেশ ও বিশ্বের উপর প্রভাব
শনির নক্ষত্র পরিবর্তনের প্রভাব দেশ ও বিশ্বে দেখা যাবে। সীমান্তে উত্তেজনা কিছুটা কমতে পারে। কোনও কোনও এলাকায় বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ভূমিকম্প হতে পারে। যুদ্ধ-সংগ্রামে থাকা দেশগুলো কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে। গোয়েন্দা ব্যবস্থা আরও সক্রিয় হবে। নতুন কেলেঙ্কারি দেখা দিতে পারে।
(Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। আজতক বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।)