প্রতিদিন হনুমানজির পুজো করা খুব ভালো বলেই মনে করা হয়। তবে মঙ্গলবার ও শনিবারের দিন হনুমানজির পুজো-অর্চনা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বজরংবলীর পুজো করলে বল, বুদ্ধি ও বিদ্যা অর্জন করতে পারবেন। হনুমানজির পুজো করলে সকল প্রকার রোগ নিরাময় হয়। হনুমানজির পুজো অত্যন্ত উপকারী এবং অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। খাবারে যেমন সবাই বিভিন্ন জিনিস পছন্দ করেন, তেমনি হনুমানজিও কিছু বিশেষ জিনিস পছন্দ করেন। সেগুলি ভোগ হিসাবে নিবেদন করলে আপনি আপনার ইচ্ছা পূরণ করতে পারেন। তাহলে জেনে নিন সঙ্কটমোচনকে কী কী ভোগ দেওয়া উচিত।
পান
হনুমানজিকে জর্দা, গুলকন্দ, মৌরি ও সুমন কাটরি পান তৈরি করে অর্পণ করুন। মনে রাখবেন সেই পানে চুন, তামাক অথবা সুপুরি যেন না থাকে। এই ভোগ নিবেদন করলে সব কাজে সফলতা পাওয়া যায়।
গুড়-ছোলার ভোগ
হনুমানজিকে গুড় ও ছোলার ভোগ দিলে মঙ্গল দোষ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। যদি ভোগ নিবেদন করার মতো কিছুই না থাকে তাহলে শুধু গুড় ও ছোলা দিয়েও হনুমানজিকে প্রসন্ন করা যা। প্রত্যেক মঙ্গলবার ও শনিবার গুড়-ছোলা ভোগ দিলে সব সমস্যা দূর হয়ে যায়।
কেশর ভাত
হনুমানজিকে কেশর ভাতের ভোগ লাগানো যেতে পারে। কেউ যদি ৫ মঙ্গলবার হনুমানজিকে কেশর ভাত দেওয়া যায়, তাহলে তাঁর সব ধরনের সমস্যার সমাধান হয়।
মিষ্টি রুটি
হনুমানজি মঙ্গলবারের দিন রুটি বা মিষ্টি রুটি ভোগ চড়াতে পারেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায়। গমের আটার সঙ্গে গুড়, এলাচ, নারকেলের গুঁড়ো, ঘি, দুধ ইত্যাদি মিশিয়ে রুটি তৈরি করা হয়। অনেক জায়গায় তা সেঁকা হয় এবং রুটির মতো দেওয়া হয় এবং অন্যান্য জায়গায় এটি ভাজা হয় এবং পুরির মতো দেওয়া হয়।
লাড্ডু
লাড্ডু হনুমানজির খুব পছন্দের একটি খাবার। এটি নবগ্রহের শুভ প্রভাব দেয়। যদিও হনুমানজিকে বেসনের লাড্ডুও দেওয়া হয়, তবে বোঁদের লাড্ডু সমস্ত গ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেখানে বেসনের লাড্ডু অর্পণ করা মাত্র কয়েকটি গ্রহকে নিয়ন্ত্রণ করে।
পঞ্চমেওয়া
হনুমানজিকে পঞ্চমেওয়ার ভোগও দিতে পারেন। কাজু, বাদাম, কিশমিশ সহ পাঁচ মেওয়া ভোগ হিসাবে দিলে হনুমানজি খুব প্রসন্ন হন এবং ভক্তের ওপর কৃপাদৃষ্টি থাকে।
জিলিপি
হনুমানজিও জিলিপি খেতে পছন্দ করেন। যদিও আপনি যে কোনও দিন হনুমানজিকে জিলিপি নিবেদন করতে পারেন, তবে মঙ্গলবার এবং শনিবার নিবেদন করলে বেশি ফল পাওয়া যায়।