scorecardresearch
 

Sun Spot: সূর্যের গায়ে কলঙ্ক ধরা পড়ল ভারতের টেলিস্কোপে, তুষারযুগ না সৌরঝড়ের আভাস?

কোদাইকানাল কেন্দ্রের শক্তিশালী টেলিস্কোপে সূর্যের কলঙ্ক ধরা পড়েছে ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি। এই ছবি ফ্রেমবন্দি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০ সেমির টেলিস্কোপ। যে ছবি বিস্মিত করেছে গোটা বিশ্বকে। লেদাখের মেরাক থেকেও ফ্রেমবন্দি হয়েছে 'সানস্পট'। 

Advertisement
সূর্যের গায়ে কলঙ্ক। Sun Spot। সূর্যের গায়ে কলঙ্ক। Sun Spot।
হাইলাইটস
  • সূর্যের গায়ে কলঙ্ক।
  • ধরা পড়ল ভারতের সৌর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের টেলিস্কোপে।

চাঁদের কলঙ্ক আছে। সূর্যও কি কলঙ্কিত? অন্তত ছবি তাই বলছে। সূর্যের গায়েও রয়েছে বিশাল কালো দাগ। যা দেখতে পেয়েছেন ভারতীয় সৌরবিজ্ঞানীরা। পালানি হিলের কোদাইকানালের সৌর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে দেখা গিয়েছে ওই বিরাট কালো দাগ।কোদাইকানাল কেন্দ্রের শক্তিশালী টেলিস্কোপে সূর্যের কলঙ্ক ধরা পড়েছে ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি। এই ছবি ফ্রেমবন্দি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০ সেমির টেলিস্কোপ। যে ছবি বিস্মিত করেছে গোটা বিশ্বকে। লেদাখের মেরাক থেকেও ফ্রেমবন্দি হয়েছে 'সানস্পট'। 

সূর্যের এই দাগ কী? নাসা জানাচ্ছে, সূর্যের গায়ে কালো দাগকে বলা হয় সানস্পট। তাদের মতে,'সূর্যে থাকা গ্যাসগুলি এক জায়গায় টিকে থাকে না। তারা এদিক-ওদিক করছে। তৈরি হয় শক্তিশালী চৌম্বকীয়। এই ধরনের গ্যাসের চলাফেরাকেই বলা হয় সোলার অ্যাক্টিবিটি বা সৌর কার্যক্ষমতা।' চাঁদের কলঙ্ক হল ওই উপগ্রহের ভিতরে থাকা বড় বড় গর্ত। সূর্যের ভিতরেও কি এমন গর্ত আছে? সৌরবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, না। আসলে সূর্যের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা আলাদা। সেটাও ওই গ্যাসের চলাফেরার কারণে। কালো জায়গাটি আসলে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম উষ্ণ।    

সূর্যের তাপের হেরফের নির্ভর করে সৌরকলঙ্ক, সৌরবায়ু, সৌরঝড়, করোনাল মাস ইজেকশানের উপরে। সৌরঝড়ের ঝাপটাও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এলে নিমেষে শেষ হয়ে যেতে পারে মানবজীবন। আর সামান্য প্রভাবে জিপিএস, রেডিও নেটওয়ার্ক থেকে যোগাযোগের সমস্ত মাধ্যম বন্ধ হয়ে যাবে। সূর্য থেকে যে ভয়ঙ্কর করোনাল মাস ইজেকশান হয় তার জন্ম সানস্পটের জন্যই হয়। একটা সোলার সাইকেল হয় ১১ বছর। তা কখনও কখনও ১২ বছর বা ১০ বছরও হতে পারে। একটা সাইকেলে তিন হাজারের মতো সানস্পট তৈরি হতে পারে। তা মিলিয়েও যায়।
  

পৃথিবীর মতোই সূর্যেরও নিজস্ব বায়ুমণ্ডল আছে। সূর্যের পিঠে ও তার উপরের স্তরকে বলে সোলার করোনা। সূর্যের ভূপৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা প্রায় ৫৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার হেরফের হয় এক এক জায়গায়। কোথাও ৫৮০০ ডিগ্রি আবার কোথাও ৫২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তারতম্যের কারণেই দেখা যায় সানস্পট। তুলনামূলক কম উষ্ণ জায়গাই কালো দেখায়।    
 

Advertisement
সূর্যের গায়ে কলঙ্ক।
সূর্যের গায়ে কলঙ্ক।

এই সানস্পটই বলে দেয় সূর্যের উত্তাপ কখন বাড়বে।  পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তা আছড়ে পড়বে কিনা। সৌর বিকিরণের বেগ বেশি বেড়ে যাবে পৃথিবীর তাপমাত্রাও। আবার কমতে শুরু করলে পৃথিবীর তাপমাত্রাও কমে যাবে। একটা সময় পৃথিবীতে তুষারযুগও এসেছিল। 
 

আরও পড়ুন- মানুষ-এলিয়েনের মহাযুদ্ধ ২০২৩ সালেই, টাইম ট্রাভেলারের দাবিতে শোরগোল

Advertisement