scorecardresearch
 

The Tricolour Seller Aazad: দারিদ্র কেড়েছে শৈশব, তেরঙার ফেরি করে স্বপ্ন কেনার প্রস্তুতি ছোট্ট আজাদের

The Tricolour Seller Aazad: ‘কারও শৈশব কাটে শপিং মলের গেমিং জোনে, কোথাও শৈশব বাঁচে জাতীয় পতাকা ফেরির খুচরো উপার্জনে...’ দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৬ বছর হতে চলল আর সে কথা মনে করাচ্ছে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করা ‘স্বপ্নের ফেরিওয়া’ বছর বারোর ছোট্ট আজাদ!

Advertisement
দারিদ্র কেড়েছে শৈশব, তেরঙার ফেরি করে স্বপ্ন কেনার প্রস্তুতি ছোট্ট আজাদের! দারিদ্র কেড়েছে শৈশব, তেরঙার ফেরি করে স্বপ্ন কেনার প্রস্তুতি ছোট্ট আজাদের!
হাইলাইটস
  • ‘কারও শৈশব কাটে শপিং মলের গেমিং জোনে, কোথাও শৈশব বাঁচে জাতীয় পতাকা ফেরির খুচরো উপার্জনে...’
  • দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৬ বছর হতে চলল আর সে কথা মনে করাচ্ছে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করা ‘স্বপ্নের ফেরিওয়া’ বছর বারোর ছোট্ট আজাদ!

The Tricolour Seller Aazad: ‘কারও শৈশব কাটে শপিং মলের গেমিং জোনে, কোথাও শৈশব বাঁচে জাতীয় পতাকা ফেরির খুচরো উপার্জনে...’ দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৬ বছর হতে চলল আর সে কথা মনে করাচ্ছে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করা ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ বছর বারোর ছোট্ট ছেলেটা। ব্যস্ত কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণির ট্রাফিক সিগন্যালে নানা মাপের তেরঙা বিক্রি করার চেষ্টা করছে সে। সামনেই দেশের স্বাধীনতা দিবস বলে কথা! এই সুযোগেই ক’টা টাকা যদি সংসারে দেওয়া যায়।

মল্লিকবাজারের ছোট এক কামরার টালির চালের ঘর থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে শেক্সপিয়ার সরণির ট্রাফিক সিগন্যাল বা ধর্মতলা মেট্রো সিনেমার সামনে পৌঁছে যায় বছর বারোর ছোট্ট আজাদ, পুরো নাম মহম্মদ আজাদ। তার বাবা পেশায় মাদারি, এক জোড়া বাঁদর নিয়ে শহরের ওলিগলিতে খেলা দেখিয়ে সামান্য আয় করেন, মা বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে আজাদই সবচেয়ে ছোট। স্কুলে যাওনি কেন? প্রশ্ন করাতেই ছোট্ট ছেলেটা ম্লান মুখে উত্তর দেয়, ‘স্কুলে গেলে কাজ করব কখন, খাব কী! দিদি স্কুলে যায়। ও-ই বাড়ি ফিরে সন্ধে বেলায় আমাকে বই পড়ে শোনায়। বাবা-মা-দাদা আর এখন আমি সকাল থেকে কাজে বেরিয়ে পড়ি।’

The Tricolour Seller Aazad

কাঁধ থেকে ঝোলানো ‘এক ব্যাগ স্বাধীনতার স্বপ্ন’ আর অনেকটা দায়িত্ব নিয়ে ৮ অগাস্ট থেকে অফিস পাড়ায় দিনের বেলাটা কাটছে আজাদের। সকাল ৮টা-সাড়ে ৮টার মধ্যে বাড়ি থেকে মায়ের হাতে দু’মুঠো খেয়ে জাতীয় পতাকা ফেরি করতে বেড়িয়ে পড়া। কখনও একটা সস্তার কেক কখনও বা বাড়ি থেকে আনা মুড়ি খেয়ে কাটছে ছেলেটার গোটা একটা বেলা। কুড়ি টাকা থেকে ৫০ টাকা— বিভিন্ন দামের আর মাপের তেরঙা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ট্রাফিক সিগন্যালের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছে আজাদ। দিনের শেষে দুই-আড়াইশো টাকা নিয়ে ঘরে ফেরা।

আরও পড়ুন

Advertisement

দারিদ্র কেড়েছে বারো বছরের ছেলেটার শৈশব। তেরঙার ফেরি করে স্বপ্ন কেনার টাকা জোগাড় করছে ছোট্ট আজাদ। ওর বয়সি আর পাঁচটা ছেলে-মেয়ে যখন নতুন নতুন খেলা শিখছে, খেলনার বায়না করছে, স্কুলে যাচ্ছে, আঙুলের আলতো ছোঁয়ায় বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে, তখন আজাদের ছোট ছোট আঙুলগুলো তার উপর্জনের টাকা গুনতে ব্যাস্ত। সে তখন ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে তেরঙা বিক্রি করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। যে কোনও শৈশবেরই স্বপ্ন হল স্বাধীনতা। স্বাধীনতার আকাঙ্খাতেই তো স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোররা কলেজে যাওয়ার, অজানা ঝুঁকিতে পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার স্বপ্ন দেখে! এই ছেলেটার নামই যে আজাদ, যার অর্থ স্বাধীন! এই স্বাধীনতার দাম সে তার শৈশব দিয়ে কিনতে চাইছে। তাঁর ছোট্ট হাতের মুঠোয় ধরা তেরঙায় এখন অনেক রঙের স্বপ্ন বাসা বেঁধেছে।

Advertisement