2023 সালের মে মাসে চালর্স দ্য থার্ড বা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক রয়েছে। কে তৃতীয় চার্লস, তা নিশ্চিই আপনাদের সকলের জানা। যিনি প্রিন্স হ্যারি এবং উইলিয়ামের বাবা। এই তৃতীয় চার্লসের বৈবাহিক জীবনও রহস্যে মোড়া। প্রথমে তিনি বিয়ে করেন ডায়নাকে। বনি বনা না হওয়ায় পাল্টে ফেলেন বউও। বর্তমানে তিনি ক্যামিলার স্বামী। সে তো ঠিক আছে রাজ্যাভিষেক হবে। রাজার মাথায় উঠবে রাজ মুকুটও। কিন্তু এতো কিছুর মাঝে রাজকোষে আদৌ কি টাকা কড়ি আছে। কারণ ব্রিটেনের বহু অলংকারই ফেরৎ চাইছে ভারত। আর এরমাঝে মরার উপর খাড়ার ঘা হল ঔপোনিবেশিক আমলের একটা ফাইল। যা সামনে আসার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে। ভারত বহুবার বলেছে, তার মূল্যবান কিছু সম্পদ ব্রিটেনের কাছে রয়েছে। যা ব্রিটেন ফেরতই নাকি দিচ্ছে না। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল ভারতের এইসব মূল্যবান ধনসম্পদ কীভাবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের কাছে গেল। সেই সংক্রান্ত গল্পই সামনে এসেছে। রাজপরিবারের সম্পদ ও অর্থ নিয়ে কস্ট অব দ্য ক্রাউন নামে একটি গবষেণা মূলক আর্টিকেল প্রকাশ পেয়েছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায়। আর সেই সূত্র ধরেই গোটা বিষয়টা সামনে এসেছে। 46 পাতার একটি বিশেষ ফাইলের হদিশ মিলেছে। যেখানে রাজভাণ্ডারের ধনসম্পদ সম্পর্কে জানতে তদন্তের নির্দেশ দেন স্বয়ং রানি মেরি। নানা সম্পদের মধ্যে সেখানে ছিল একটি পান্নাখচিত সোনার কোমরবন্ধ। নিজের ঘোড়াকে সাজাতে তা ব্যবহার করতেন পাঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিংহ। ভারত জয়ের স্মারক হিসেবে পরবর্তীকালে তা দেওয়া হয় রানি ভিক্টোরিয়াকে। বর্তমানে সেই কোমরবন্ধ রাজপরিবারের সম্পদের অংশ। আরও জানা গিয়েছে, 1837 সালে পাঞ্জাবে গিয়েছিলেন তৎকালীন গভর্নর জেনারেল জর্জ ইডেন ও তাঁর দিদি ফ্যানি ইডেন। মহারাজা রঞ্জিত সিংহের জাঁকজমক দেখে তাঁদের তাক লেগে যায়। ফ্যানি বলেছিলেন, সুন্দর গয়না দিয়ে নিজের ঘোড়াগুলিকে সাজাতেন রঞ্জিত সিংহ। সেই জাঁকজমক কল্পনাও করা যাবে না। কখনও যদি তাঁকে এই রাজত্ব লুঠ করার অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তিনি সোজা আস্তাবলে যাবেন। এর আগে ভারতের কাছে যাতে কোহিনূর ফিরে আসে, সেই জন্য ব্রিটেনের কাছে আহ্বানও জানানো হয়েছিল। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকেই ভারতের কাছে কোহিনূর হীরা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল। এই হীরার একটা দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে 105 ক্যারেট হীরাটি আদৌ হাউস অফ উইন্ডসরের অন্তর্গত কিনা তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। ভারতীয়দের বিশ্বাস যে এটা ভারতের দক্ষিণ থেকে এসেছে। তবে আপনার মনে হতেই পারে, তা ব্রিটিশ রাজপরিবারের হাতে এলো কীভাবে। এর ব্যাখ্যা নিয়ে যদিও বিভিন্ন মত রয়েছে। তাও শোনা যায়, 1840-র দশকের শেষের দিকে 11 বছরের শিখ মহারাজা দলীপ সিংহ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে সমর্পণ করার পর হীরাটি 1850 সালে রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে পৌঁছেছিল। যা পরে রানির মুকুটে লাগানো হয়েছিল। তবে শুধু যে ভারত কোহিনূর ফেরত চায়, এমনটা নয়। এর রকম আরও কিছু মূল্যবান অলংকার রয়েছে, যা ব্রিটেনের থেকে ফেরত চায় ভারত। এক নজরে দেখুন সেই তালিকা।
9 Most Valuable Things Stolen By The British From India