বিগত কয়েকবছর ধরে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ঋষভ পান্থ। পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আরও একটা কারণে তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। সেটা হল মজার মজার ডায়লগ! উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ২৩ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার এমন হাস্যকর কিছু মন্তব্য করেন, যা চরম টেনশনের মুহূর্তেও দর্শকদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেয়।
আসুন আজ ঋষভের তেমনই সাত ডায়লগ আপনাদের শোনানো যাক :
১. 'মেরা নাম হে ওয়াশিংটন, মেরে কো জানা হে ডিসি'
(আমার নাম ওয়াশিংটন, আমি ডিসি যেতে চাই), বল করার সময় ওয়াশিংটন সুন্দরকে বলেছিলেন ঋষভ পান্থ।
২. "খুদ সে কুছ নেহি হোতা ইধার, করনা পড়তা হে"
(এখানে নিজে থেকে কিছুই হয় না, করতে হয়), জো রুট এবং ডম সিবলের পার্টনারশিপ যখন ভারতীয় বোলাররা ভাঙতে পারছিলেন না, তখন তাঁদের অনুপ্রাণিত করার জন্য পান্থ এমন কথা বলেন।
৩. "চলো ইয়ার অন্দরওয়ালো, মহল বানাও চলো চলো চলো"
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা যখন একের পর এক জোরাল শট হাঁকিয়ে যাচ্ছেন, তখন ৩০ গজের মধ্যে থাকা ফিল্ডারদের আরও উৎসাহিত করতে পান্থ এমন কথা বলেন।
৪. "বডি ল্যাংগুয়েজ নিচে হো রহি হে"
(বডি ল্যাংগুয়েজ ক্রমশ নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে) চিপক স্টেডিয়ামে প্রথম দিনের একেবারে শেষবেলায় খেলার মধ্যে ফিল্ডারদের ফোকাস ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি এমন কথা বলেন।
৫. "ভাইয়ো কা হো গয়া, থোড়া টাইট হো যাও"
(ভাই এদের হয়ে গেছে, একটু টাইট হয়ে যাও) বেশ কয়েকবার মিস ফিল্ডের পর দলের সতীর্থ খেলোয়াড়দের চাঙ্গা করার জন্য পান্থ এমন কথা বলেন।
৬. "ইয়ে দো শট হি মারেগা, সুইপ ইয়া রিভার্স"
(এ দুটো শটের মধ্যে একটা মারবেই, হয় সুইপ নাহলে রিভার্স) জো রুটের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়ে আগে থেকে শাহবাজ় নাদিমকে সতর্ক করে দেন পান্থ।
৭. "কেয়া সলিড সিন হে, কেয়া সিন হে"
(কী অসাধারণ দৃশ্য, অসাধারণ দৃশ্য), শিনবোনের সাহায্যে রোহিত শর্মার বল থামানোকে দেখে তিনি এমন কথা বলেন।
তবে শুধুমাত্র মুখের কথাই নয়, ব্যাট হাতেও ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছেন ঋষভ পান্থ। চেন্নাইয়ে আয়োজিত প্রথম টেস্ট ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও দুটো ইনিংসে তিনি যথাক্রমে ৯১ এবং ১১ রান করেন। সবথেকে বড় কথা, ঋষভের চওড়া ব্যাটে ভর করেই ভারত ব্রিসবেনে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ় জয় করেছিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আগামী টেস্ট ম্যাচে মুখের পাশাপাশি ঋষভের ব্যাটও যে গর্জন করবে; তেমনটা আশা করা যেতেই পারে।