এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুতে (AFC Champions League 2) গ্রুপ এ-তে কঠিন গ্রুপে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। চার দলের এই গ্রুপে আল ওয়াকরাহ এসসি, ট্রাক্টর এফসি ও এফসি রাভসান। আল ওয়াকরাহ কাতারের ক্লাব। ইরানের ক্লাব ট্র্যাক্টর এফসি এবং এফসি রাভশান তাজিকিস্তানের ক্লাব। ফলে মোহনবাগান কিন্তু বেশ কঠিন গ্রুপেই পড়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে ট্র্যাক্টরের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচ খেলবে মোহনবাগান। এরপর অক্টোবরের শুরুতে রাভসানের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেই মাসের শেষদিকে আল ওয়াকরাহ এসসির বিরুদ্ধে প্রথমে অ্যাওয়ে ও নভেম্বরের শুরুতে হোম ম্যাচ খেলবে হোসে মোলিনার দল। নভেম্বরের শেষে ও ডিসেম্বরের শুরুতে যথাক্রমে ট্রাক্ট্রেরের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ও রাভসনের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচ খেলবে মোহনবাগান।
গত মরসুমে আইএসএল লিগ শিল্ড জেতার ফলে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুতে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তাই এই টুর্নামেন্টে ভাল কিছু করার তাগিদ রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবিরের। এবার সেই কারণেই ও শক্তিশালী দল গড়েছে তারা। জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোসরা আগেই দলের সঙ্গে ছিলেন। আর এবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার জেমি ম্যাকলরেন ও গ্রেগ স্টুয়ার্ট। পাশাপাশি ডিফেন্স পোক্ত করতে নিয়ে আসা হয়েছে টম আলড্রেড, আলবার্তো রডরিগেজকে।
এবারে মোহনবাগান এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ গ্রুপ পর্বকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছে। তবে সবুজ-মেরুনের প্রতিপক্ষ কঠিন। নতুন কোচ হোসে মোলিনা কীভাবে তাঁর দল পরিচালনা করেন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ সেটাই দেখার। ডুরান্ড কাপে দারুণ ছন্দে থাকলেও এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-তে খেলা এতটা যে সহজ হবে না তা ভালভাবেই বুঝতে পারছেন মোহনবাগান সমর্থকরা। কারণ এই সমস্ত ক্লাবে বিদেশির সংখ্যা প্রচুর। মোহনবাগান যদিও মাত্র ৬ জন বিদেশিকে নিয়েই মাঠে নামতে পারবে। কারণ, আইএসএল-এ ছয়জন বিদেশি রেজিস্টার করানো যায়।