এগিয়ে থেকেও জামশেদপুরের (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে হেরে প্লে অফের আশা অনেকটাই ফিকে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)। অন্যদিকে এই ম্যাচ জিতে খালিদ জমিলের ছেলেরা উঠে এল ছয় নম্বরে। বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর যদিও দলের ভুল নয়, রেফারির ভুলকেই হারের কারণ হিসেবে মনে করছেন লাল-হলুদের হেডস্যার কার্লস কুয়াদ্রাত।
ইস্টবেঙ্গল কত নম্বরে?
১৫ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল এখন আট নম্বরে। সোমবার ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ চেন্নাইয়েন এফসি-র বিরুদ্ধে। লাল-হলুদের এখনও ৭টা ম্যাচ বাকি রয়েছে। এখানে যেমন তাদের ম্যাচ রয়েছে এফসি গোয়া, ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে তেমনই এক লেগের ডার্বিও বাকি। ফলে বাকি ম্যাচ গুলোতে যতটা সম্ভব পয়েন্ট তুলে নেওয়া কঠিন হতে পারে। সেই কঠিন কাজটাই করতে হবে কুয়াদ্রাতের দলকে। তবে এখনই আশা ছাড়তে নারাজ লাল-হলুদ সমর্থকরা।
চেন্নাইয়েন এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে তিন পয়েন্ট পেলে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে টপকে সাত নম্বরে উঠে আসবে ইস্টবেঙ্গল। জামশেদপুর একটা ম্যাচ হেরে গেলে ছয় নম্বরেই উঠে আসবে লাল-হলুদ। প্লে অফে জায়গা করতে হলে সবকটি ম্যাচই ইস্টবেঙ্গলের কাছে এখন ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ।
একের পর এক সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল
সিভেরিও, বোরহার মতো ফুটবলারদের ছেড়ে দিতে হয়েছে। চোটের জন্য মাঠের বাইরে সল ক্রেসপো। ডিফেন্সকে নেতৃত্ব দিতে পারা লুকাস পার্দোও চোটের একই কারণে ছিটকে গিয়েছেন। শূন্যস্থান পূরণ করতে বিদেশি ফুটবলার নেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এদেশের ফুটবলের সঙ্গে এখনও মানিয়েই নিতে পারেননি তাঁরা। মেসির প্রাক্তন সতীর্থ ভিক্টর ভাসকোয়েজ এখনও পুরোপুরি ম্যাচ ফিট নন। নতুন আসা ডিফেন্ডার প্যানটিচ প্রথম ম্যাচ হিসেবে বেশ ভাল হলেও। আরও সময় দরকার তাঁর। কোস্তারিকান স্ট্রাইকার ফেলিসিও পরে নামলেও দাগ কাটতে পারলেন কৈ? ফলে নানা সমস্যায় জর্জরিত কুয়াদ্রাত।
ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সর কাঁপুনি থামাতে গেলে মিডফিল্ডে ব্লকিং দরকার। মাঝমাঠে ক্রিয়েটিভিটিরও অভাব রয়েছে ফলে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না।
ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচ
২৬ ফেব্রুয়ারি- ইস্টবেঙ্গল বনাম চেন্নাইয়েন এফসি
২৯ ফেব্রুয়ারি- ইস্টবেঙ্গল বনাম ওড়িশা এফসি
৬ মার্চ- ইস্টবেঙ্গল বনাম এফসি গোয়া
১০ মার্চ- ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান
৩ এপ্রিল- ইস্টবেঙ্গল বনাম কেরল ব্লাস্টার্স
৭ এপ্রিল- ইস্টবেঙ্গল বনাম বেঙ্গালুরু এফসি
১০ এপ্রিল- ইস্টবেঙ্গল বনাম পঞ্জাব এফসি