আনোয়ার আলি (Anwar Ali) কোন দলের ফুটবলার? মরসুম শুরু হয়ে গেলেও এ প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে তাতে সমস্যায় পড়তে পারেন ভারতীয় দলের (Indian Football Team) তারকা ডিফেন্ডার। ২ আগস্ট দিল্লিতে প্লেয়ার স্টেটাস কমিটির (Player Status Commitee) মিটিং রয়েছে। সেখানেই আনোয়ারের ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার কথা রয়েছে। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের (Mohun Bagan Super Giant) দেওয়া দাবিপত্রে আনোয়ারকে ছাড়তে হলে বিরাট অঙ্কের অর্থ যেমন চাওয়া হয়েছে, তেমনই দিল্লি এফসিকে ট্রান্সফার ব্যান করার ব্যাপারেও সওয়াল করা হয়েছে।
আনোয়ারকে ছাড়তে হলে কত টাকা নেবে মোহনবাগান?
মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ১৫ কোটি টাকার উপর চাইতে পারে আনোয়ারের কাছ থেকে। ২০২৩ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। তার সঙ্গে প্রতি মরসুমে আড়াই কোটি টাকা করে মাইনে পান এই ডিফেন্ডার। পাশাপাশি ট্রান্সফার ফি বাবদ ২ কোটি টাকা দিতে হয়েছিল দিল্লি এফসি-কে। সেই কারণেই এত বড় অর্থ চাইছে সবুজ-মেরুন।
ট্রান্সফার ব্যান চাইছে মোহনবাগান
আনোয়ার আলির প্রসঙ্গে মিথ্যাচার করা হয়েছে বলে দাবি মোহনবাগানের। পাশাপাশি দিল্লি এফসির-ও ট্রান্সফার ব্যান চেয়েছে মোহনবাগান। পাশাপাশি এই জটিলতার জন্য যারা দায়ি তাদেরও ব্যান দাবি করেছে তারা। চিঠিতে ইস্টবেঙ্গলের নাম না বললেও, আনোয়ারকে সই করানোর চেষ্টা যে ইস্টবেঙ্গলই করেছিল তা সকলেরই জানা। তাই এক্ষেত্রে তির ইস্টবেঙ্গলের দিকেই। এর আগে কলকাতা লিগে আনোয়ারকে রেজিস্টার করাতে চাইলেও তাঁকে পায়নি মোহনবাগান। মূল দলের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেলেও এখনও আসেননি আনোয়ার। ফলে প্লেয়ার স্টেটাস কমিটির দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে।
শাস্তি হতে পারে আনোয়ারের?
এক ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও অন্য কোনও ক্লাবের সঙ্গে কথা বলার অপ্রাধে ব্যান হতে পারেন আনোয়ার। সেক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাসের ব্যান হতে পারে ভারতীয় দলের ডিফেন্ডারের। ফলে বিরাট সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি আদালতেও যেতে পারে এই বিষয়টি। আর তাই আপাতত ২ আগস্টের দিকেই তকিয়ে সবপক্ষ।