আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali) নাটক অব্যহত। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) সই করলেও লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপিয়ে ভারতীয় দলের এই ডিফেন্ডার নামতে পারবেন কিনা তা নিয়ে জটিলতা চলছেই। গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখবে এআইএফএফ-এর (AIFF) প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি। কেরিয়ার বাঁচানোর স্বার্থে আনোয়ার নিজেও সেই আবেদন করেছেন বলে সূত্রের খবর। এখন ফেডারেশন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
ফেডারেশনের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুসারে লোন ডিল নিয়ে যে নিয়ম ফিফা (FIFA) চালু করেছে, তা ভারতের ক্ষেত্রে লাঘু হবে ২০২৫-এর জানুয়ারি মাসের ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে। এদিকে এখন চলছে আগস্ট ট্রান্সফার উইন্ডো। ইস্টবেঙ্গল তার মধ্যেই এই ডিফেন্ডারকে সই করিয়ে নিয়েছে। ফলে এখন যা পরিস্থিতি তাতে লাল-হলুদে সই করলেও এখনও আনোয়ারের খেলার ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছে না কোনও পক্ষ। সরকারি ঘোষণাও হয়নি। যদিও মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant) দুইদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে, আনোয়ার তাদের দলেই রয়েছেন।
ফিফার আইনে কী রয়েছে?
ফিফার আইনের ১.৩(বি) ধারায় বলা হয়েছে, 'ফিফার সমস্ত সদস্য দেশকে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দেশীয় ফুটবলারদের লোন সংক্রান্ত নিয়ম বদল করতে বলা হচ্ছে। ১ জুলাই ২০২২ থেকে ৩ বছরের সময় দেওয়া হচ্ছে।' এআইএফএফ জানিয়েছে, পরবর্তী ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। অর্থাৎ আনোয়ারকে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে হলে মোহনবাগান সুপাজায়েন্টের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আসতে হবে। যদিও এ ব্যাপারেও কোনও বক্তব্য জানায়নি কোনও পক্ষ।
২০২৩ মরসুমে চার বছরের লোন ডিলে দিল্লি এফসি (Delhi FC) থেকে মোহনবাগানে এসেছিলেন আনোয়ার। মরসুমের অনেকটা সময় চোটের জন্য বাইরে থাকতে হলেও, যেটুকু খেলেছেন তাতে ভরসা দিয়েছেন এই ডিফেন্ডার। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে গোলও রয়েছে তাঁর। তবে এবার তাঁর ভবিষ্যৎ কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে চুক্তি সই করলেও তিনি কোন দলে খেলবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।