ইস্টবেঙ্গলে (Emami East Bengal) সই করে ফেলেছেন স্টপার আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ পরিস্থিতি যা তাতে আনোয়ার ইস্যু গড়াতে পারে আদালতে। গত মরসুমে দিল্লি এফসি (Delhi FC) থেকে লোন ডিলে সই করেছিলেন তিনি। ২০২৭ অবধি তাঁর সঙ্গে চুক্তি করেছিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। তবে ফিফার লোন ডিলের নিয়ম অনুসারে এক বছরের বেশি লোনে কোনও ফুটবলারকে খেলানো যায় না। আর সেই নিয়মের বেড়াজালেই আটকে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট।
এই সই জটিলতার মধ্যেই নিঃশব্দে মাঠে নামেন লাল-হলুদ কর্তারা। আনোয়ারকে সই করিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। যদিও মোহনবাগান কর্তারা এর শেষ দেখতে চান। সোশ্যাল মিডিয়াতে গতকালই সবুজ-মেরুন জার্সিতে আনোয়ারের ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। আর আজ তিনি যোগ দিলেন ইস্টবেঙ্গলে। ফলে সব মিলিয়ে ঝড় উঠেছে দল বদলের বাজারে। আনোয়ারের এই ডিলের সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের খবর, গতকাল রাতেই দিল্লিতে আনোয়ারের সমস্ত কাগজপত্র দেখে তাঁকে সই করিয়েছে লাল-হলুদ। যেখানে উপস্থিত ছিলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তা। ছিলেন রঞ্জিত বাজাজও। জানা যাচ্ছে আনোয়ারকে সই করাতে আসরে নেমেছিল আইএসএল-এর আরও এক হেভিওয়েট দল মুম্বই সিটি এফসিও (Mumbai City FC)। কিন্তু মুম্বই আর মোহনবাগানকে টেক্কা দিয়ে আনোয়ারের সঙ্গে ডিল ডান করে ইস্টবেঙ্গল।
ভারতীয় তারকা ফুটবলার ভরসা দিয়েছেন মোহনবাগান ডিফেন্সকে। তাঁকে নিয়ে আসন্ন মরসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই চলছে দলবদলের মেগা লড়াই। ঘটনার সূত্রপাত দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজের এক পোস্ট থেকে। তিনি জানান, নতুন ক্লাবে দেখা যেতে চলেছে আনোয়ারকে। এরপরই সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্ট আসরে নামেন। যদিও তার আগেই চুপিসারে আসরে নেমে পড়েন লাল-হলুদ কর্তারা তারা বলেন আনোয়ারের সঙ্গে তাদের চুক্তি ২০২৭ পর্যন্ত। ফলে এই ডিফেন্ডার অন্য কোনও ক্লাবে যাচ্ছেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ফ্যানদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ডুরান্ড কাপে আনোয়ারকে দেখতে তাঁরা প্রস্তুত কিনা।
দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, ফিফার নিয়ম অনুসারে একজন ফুটবলারকে লোনে এক মরসুমের জন্যই সই করানো যায়। সেখানে আনোয়ারের সঙ্গে ২০২৭ পর্যন্ত চুক্তি করেছে মোহনবাগান । যা নাকি ফিফার নিয়মের বাইরে। আর এখানেই বাজি মারে লাল-হলুদ। বিশাল অর্থে আনোয়ারকে জালে তোলেন ইমামি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যদিও মোহনবাগান কর্তারাও বিষয়টা খতিয়ে দেখেছেন। তবে তাদের দাবি, ফিফার এই নিয়ম ভারতীয় ফুটবলের ক্ষেত্রে কার্যকর নয়।