স্কোয়াশে বড় সাফল্য পেল ভারত। এশিয়ান গেমসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা জিতে নিল ভারতের স্কোয়াশ দল।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টিম ইভেন্টে দুরন্ত সোনা জিতল সৌরভ ঘোষাল, অভয় সিং, মহেশ মানগাওকররা। ক্রিকেট আর হকিতেই ভারত-পাকিস্তানের ধুন্ধুমার যুদ্ধ বেশি দেখা যায়। খেলা বদলে গেলেও যে রোমাঞ্চ, উত্তেজনা কমে না, স্কোয়াশ কোর্টে তাই দেখল এশিয়াড। পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা জয়ের পর রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে যায় ভারতীয় শিবিরে। সেলিব্রেশন করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন অভয় সিং। যদিও শুরুটা একেবারেই ভালো করতে পারেননি ভারতের স্কোয়াশ প্লেয়াররা। তিন সেটের ম্যাচে প্রথমেই পাকিস্তানের নাসির ইকবালের কাছে হেরে গিয়েছিলেন মহেশ। ৮-১১, ৩-১১, ২-১১ ফলে হেরে যান তিনি।
কিন্তু সেখান থেকেই ভারতকে ম্যাচে ফেরান বাংলার সৌরভ। মহম্মদ অসিম খানকে দাঁড়াতেই দেননি তিনি। ১১-৫, ১১-১, ১১-৩-এ জিতে যান তিনি। সৌরভের হাত ধরেই স্কোর ১-১ করে ভারত। তারপর ঐতিহাসিক জয় পেয়ে যান অভয় সিং। বেস্ট ফাইভের প্রথম গেমটা জিতেছিলেন ১৯ বছরের নুরজামানের বিরুদ্ধে। পাক স্কোয়াশ প্লেয়ারের দাদু আবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ছিলেন একসময়। তাঁর নাতিও দারুণ ছন্দে ছিলেন এদিন। সেই নুরই ভারতের সোনা প্রায় কেড়ে নিচ্ছিলেন। নুরের দুরন্ত ব্যাকহ্যান্ডের জন্যই দ্বিতীয় গেমে আর দাঁড়াতে পারেননি অভয়। হেরে যান ৯-১১। পরের গেমটাতেও নুরের জয়গান। ভারতীয় অ্যাথলিটের বিরুদ্ধে তিনি জেতেন ১১-৭।
২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসেও স্কোয়াশে টিম ইভেন্ট থেকে সোনা জিতেছিল ভারত। মহেশ সে বারও ছিলেন ভারতীয় টিমে। তবে ওই টিমেরও মুখ ছিলেন সৌরভ। গত এক দশক ধরে ভারতীয় স্কোয়াশকে একার কাঁধে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাংলার ছেলে। ৩৭ বছরের সৌরভ ঘোষাল আরও একবার দেখালেন, স্কোয়াশের মতো ফিটনেসের খেলায় তাঁকে পিছনে রাখা সম্ভব নয়।
এশিয়ান গেমসে বাংলার প্রাপ্তি কী দাঁড়াল? তিনটে সোনা এখনও বাংলার ঝুলিতে। মেয়েদের ক্রিকেটে সোনা জিতেছেন তিতাস সাধুরা। এরপর সৌরভরাও সোনা জিতে নিলেন।