scorecardresearch
 

Bengal Olympic Association: এই প্রথম! BOA-তে বিশাল ভোটে হারলেন মমতার ভাই বাবুন

বড় ব্যবধানে হারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় (Babun Banerjee)। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (Bengal Olympic Association) ভোটে বড় ব্যবধানে হার তাঁর। আপাত নিরীহ এই নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল ময়দান। বাবুনের অভিযোগ ছিল তাঁর দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ajit Banerjee) বিরুদ্ধেই। আর এবার নির্বাচনের ফল বেরোতে দেখা গেল ৪৫-২০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন বাবুন।  

Advertisement
বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন

বড় ব্যবধানে হারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় (Babun Banerjee)। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (Bengal Olympic Association) ভোটে বড় ব্যবধানে হার তাঁর। আপাত নিরীহ এই নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল ময়দান। বাবুনের অভিযোগ ছিল তাঁর দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Ajit Banerjee) বিরুদ্ধেই। আর এবার নির্বাচনের ফল বেরোতে দেখা গেল ৪৫-২০ ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন বাবুন।  

চার বছর আগে এই নির্বাচনকে ঘিরে যথেষ্টই উন্মাদনা ছিল। বিশেষ করে সভাপতি পদের লড়াইকে ঘিরে। সেই পদে মুখ্যমন্ত্রীর দাদা ও ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখেছিল গোটা ময়দান । দাদা অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই নির্বাচনে হারিয়ে বিওএ সভাপতি হয়েছিলেন ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের নির্বাচনে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় না-থাকলেও সভাপতির পদ নিয়ে লড়াইটা একইভাবে অব্যহত। ভাবা গিয়েছিল, এবারে যেহেতু অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় নেই, সেক্ষেত্রে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় সহজ হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদলে যায় গোটা পরিস্থিতি। বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়েন ওয়েট লিফটিং কর্তা চন্দন রায়চৌধুরী। শেষ হাসি হাসলেন তিনিই। 

এবার আইএফএ থেকে ভোট দেননি সচিব অনির্বাণ দত্ত। রাজ্য ফুটবল সংস্থার তরফ থেকে ভোট দিয়েছেন সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সহ-সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। মোট ১৪টি পদের জন্য ৩৬টি অ্যাসোসিয়েশনের ৬৮ জন প্রতিনিধি ভোট দেবেন বিওএ নির্বাচনে। এর মধ্যে একটি পদ সভাপতির, সহ-সভাপতির জন্য সাতটি পদ, সচিব ১টি, কোষাধ্যক্ষ ১টি, যুগ্ম সচিব চারটি।

সহ-সভাপতি পদের লড়াইতেও টানটান উত্তেজনা। ক্রিকেট প্রশাসক বিশ্বরূপ দেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এই পদের জন্য। সাতজন সহ-সভাপতির পদের জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছে ১১ জনের। মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিন ছিল। আশা করা গিয়েছিল, বেশ কয়েকজন কর্তাই প্রত্যাহার করে নেবেন মনোনয়ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে কোনও পদ থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা বাড়ছে এই নির্বাচনকে ঘিরে। চাপা টেনশন রয়েছে দু’পক্ষেরই। 
  
এই ভোটের আগে চন্দন রায়চৌধুরীরা বলছেন, ক্ষমতায় আসলে স্পোর্টস কোড মেনে সাতদিনের মধ্যে এক ব্যক্তির একাধিক সংস্থার পদাধিকারী হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন। একইভাবে মা এবং ছেলে’কে নিয়ে একটি রাজ্য সংস্থা বা মামা-ভাগ্নে নিয়ে একটি রাজ্য সংস্থা চালানো বন্ধ করবেন। এবার সেই কাজ তারা দ্রুত করতে পারেন কিনা সেদিকেই নজর থাকবে ময়দানের। 
 

Advertisement

Advertisement