মরসুমের প্রথম ডার্বি (Kolkata Derby) জিতল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। শেষ ১৪ মিনিট ইস্টবেঙ্গল ১০ জনে খেলায় শেষদিকে সুহেল ভাটের গোলে ব্যবধান কমালেও জিততে পারেনি মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। ২-১ গোলে জিতল লাল-হলুদ। কলকাতা লিগের (CFL 2024) ডার্বির শতবর্ষে দারুণ জয় পেল বিনো জর্জের ছেলেরা। গোটা ৯০ মিনিট জুড়ে দাপট দেখাল তারা। একবারও মনে হয়নি এই ম্যাচে জিততে পারে সবুজ-মেরুন। তবে গোল করতে না পারায় হেরেই যেতে হল মোহনবাগানকে।
আমনদীপ সিং ও লেওয়ান কাস্টানা পিভি বিষ্ণুর রিসিভিং-এই কেটে যান। ভেতর দিকে ঢুকে এসে সেকেন্ড পোস্টে দুরন্ত ফিনিশ করে যান। দ্বিতীয়ার্ধে সায়ন বন্দোপাধ্যায়কে নামানোর পরে আক্রমণের ধার বাড়ে লাল-হলুদের। ৬০ মিনিটে জেসিন টিকে ও আমন সিকে দারুণ সুযোগ তৈরি করেন। বাঁ দিক থেকেই উঠে এসেছিল সেই আক্রমণ। সময়মতো গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসে দলের গোল খাওয়া আটকান মোহনবাগান গোলকিপার রাজা বর্মন। ফিরতি বলেও সুযোগ এসেছিল। তবে মরিয়া ডিফেন্ডিং করে বল বের করেন মোহনবাগান ডিফেন্ডাররা।
তবে ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন জেসিন টিকে। সহজ বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি সৌরভ ভানওয়ালা। তাঁর ভুল থেকেই গোল পায় লাল-হলুদ। আমন সিকের দুরন্ত স্ন্যাচিং থেকে গোলের দরজা খুলে যায়। তাঁর ক্রস মিট করেই গোল করে যান জেসিন। দ্বিতীয়ার্ধে একটা ক্ষেত্র ছাড়া গোল করার মতো পরিস্থিতিই তৈরি করতে পারেনি মোহনবাগান। ৭৭ মিনিটে জোসেফ জাস্টিন খুব খারাপ ট্যাকেল করেন। প্রথমার্ধেও বেশ কয়েকবার বাজে ট্যাকেল করে হলুদ কার্ড দেখেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফের সালাউদ্দিনকে বিধি বহিরভূর্ত ট্যাকেল করে লাল কার্ড দেখেন তিনি। এরপর অনেকটাই চাপে পড়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ১ গোল শোধ করলেও, তা জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। ইনজুরি টাইমে ডানদিক থেকে ক্রস করেন টাইসন। সার্থক গলুইয়ের মাথার উপর দিয়ে সেই বল কাছে যেতেই ফ্লাইং হেডে গোল করে যান সুহেল ভাট। তবে তা ড্র করার জন্য যথেষ্ট ছিল না। তিন ম্যাচের তিনটিতে জিতে দারুণ জায়গায় ইস্টবেঙ্গল। আর এই হারের পর সুপার সিক্সে ওঠা অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল মোহনবাগানের পক্ষে। কারণ তারা এখনও একটাও ম্যাচ জিততে পারেনি।