আবারও হিরো এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (Emiliano Martinez)। ২০২২ বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) ফাইনালে তাঁর সেভই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার মধ্যে। সেবার কলুমুয়ানির শট পা বাড়িয়ে সেভ করেছিলেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার। আর এবার লিওনেল মেসির (Lionel Messi) ব্যর্থতার দিনে ফের জ্বলে উঠলেন তিনি। একটা নয়, তিন তিনটে পেনাল্টি শট সেভ করে নায়ক মার্টিনেজ।
মার্টিনেজের হাতে আটকে গেল ইকুয়েডর
ইনজুরি সময়ের খেলা ২ মিনিট গড়িয়েছে। লিজান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনাল নিশ্চিত। হয়তো এরকমই ভেবেছিল আর্জেন্টিনা শিবির। ইকুয়েডর কিন্তু হাল ছাড়েনি। বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পেয়েছিল ইকুয়েডর। জন ইয়েবোয়ার ভাসানো বলে মাথা ছোঁয়ালেন কেভিন রডরিগেজ। এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দাঁড়িয়ে দেখলেন দ্বিতীয় পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়াচ্ছে। ম্যাচ টাইব্রেকারে। শেষ মুহূর্তে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েও অবশ্য শেষরক্ষা করতে পারল না ইকুয়েডের। টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে ৪–২ ব্যবধানে হারিয়ে কোপা আমেরিকার শেষ চারে আর্জেন্টিনা। ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে খলনায়ক হতে পারতেন লিওনেল মেসি। দলের অধিনায়ককে বাঁচিয়ে দিল সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজের বিশ্বস্ত হাত।
পেনাল্টি সেভ করেন মার্টিনেজ
ইকুয়েডরের তারকা ইকার ভ্যালেন্সিয়ার পেনাল্টি সেভ করেন মার্টিনেজ। রড্রিগো ডি পল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগিয়ে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর। তবে সেই শট বারে মারেন ভ্যালেন্সিয়া। যদিও এক্ষেত্রে উল্টো দিকেই ঝাঁপিয়েছিলেন মার্টিনেজ।
ইনজুরি টাইমে গোল শোধ ইকুয়েডরের
টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে গিয়েই ব্যর্থ হন মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার শট বারে লেগে বাইরে চলে যায়। ইকুয়েডরের মিনারের শট সেভ করেন মার্টিনেজ। এরপর আলভারেজের শটে গোল হয়ে যায়। ফের মার্টিনেজের হাতে আটকে যায় ইকুয়েডর। এরপর ম্যাকালিস্টারের শটও গোলে ঢোকে। এরপর আর্জেন্টিনা আর মিস না করায় জয় পায় তারা।
টাইব্রেকারেও দারুণ সেভ মার্টিনেজের
টাইব্রেকারের প্রথম শট লিওনেল মেসি বাইরে মারেন। এর জেরে চাপে পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু এরপর ত্রাতা হয়ে ওঠেন মার্টিনেজ। অ্যালেন মার্টিনেজের শট সেভ করেন এমিলিয়ানো। এরপর মিন্ডার শটও সেভ করেন আর্জেন্টিনার গোলকিপার।