শিলং লাজং-এর (Shillong Lajong) বিরুদ্ধে হেরে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আর এর পর থেকেই জোরাল দাবি উঠতে শুরু করেছে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) পদত্যাগের। সেই দাবি জোরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বুধবার শিলং-এর মাটিতে ২-১ গোলে হেরে যায় লাল-হলুদ। গত মরসুমে সুপার কাপ (Super Cup 2023) জেতার পর, কার্লেসকে 'প্রফেসর' বলছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা কেন বছর ঘুরতেই কোচ তাড়ানোর কথা বলছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা? তা হলে কি স্প্যানিশ কোচকে নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে কর্তাদেরও?
কী কী কারণে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে?
বুধবার ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে যায় লাল-হলুদ। সেট পিস যতবার হয়েছে ততবারই কেঁপে গিয়েছেন হিজাজি মাহের, লালচুংনুঙ্গারা। হিজাজি নিজেও যে পুরোপুরি সুস্থ তা বলা যাবে না। সবে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় হেক্টর ইউস্তেকেও ডিফেন্সে নামিয়ে দিতে পারেননি কার্লেস। ফলে ফাঁকফোকর বারেবারে নজরে এসেছে। সেটাকে কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করেছে লাজং।
মিডফিল্ডে ব্লকিং ঠিকভাবে না হলে ডিফেন্সের উপর চাপ যে বাড়ে তা বলাই বাহুল্য। জিকসন সিং-কেও সেই কাজটা ঠিকভাবে করা যায়নি। হয়ত সময়ের অভাবেই সমস্যা বেড়েছে লাল-হলুদের। আক্রমণে লোক বাড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ফলে ডিফেন্সে লোক বাড়িয়ে সুবিধা করে নিয়েছে লাজং।
ঠিক কী কারণে হেক্টরকে গোল খাওয়ার পরে স্ট্রাইকারে নামানো হয়েছিল তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। যদি তাঁকে নামাতেই হত, তা হলে আগে নামালেন না কেন? গ্যালারিতে ছিলেন আনোয়ার আলি। এই ম্যাচের পর তিনি ৪ মাসের নির্বাসনের মুখে পড়তে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর জানুয়ারি অবধি খেলাই হবে না। এমন স্থায় কেন তাঁকে শুত্রু থেকে দলে রাখা হল না?
কার্লেসকে নিয়ে একাংশের ক্ষোভ বাড়লেও, একটা বড় অংশের ফ্যান দলের খেলায় হতাশ হলেও কিন্তু এখনও কোচের উপর ভরসা রাখতে চাইছেন। কার্লেসের মস্তিস্কের জোরেই সুপার কাপ জিতে ১২ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আর বুধবার ম্যাচ হারের পর, সাংবাদিকদের সামনেই আসেননি কার্লেস। তবে কোচের উপর থেকে আস্থা হারানোর কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি ক্লাবের তরফ থেকে। ডুরান্ড কাপের পর, এবার আইএসএল-এই ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।