ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) থেকে হয়ত ছাঁটাই হচ্ছেন ইভান গঞ্জালেজ (Ivan Gonzalez)। সম্ভবত তাঁর জায়গায় অস্ট্রেলিয়ার (Australia) তারকা জর্ডন এলসেকে (Jordan Elsey) সই করাতে পারে ইস্টবেঙ্গল। গত এক দশক থেকে অস্ট্রেলিয়ার লিগে নিয়মিত খেলছেন এই তারকা ফুটবলার।
শুধু দাপটের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান লিগে খেলাই নয়, মোহনবাগানে (Mohun Bagan) সই করা জেসন কামিন্সের (Jason Cummins) বিরুদ্ধেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জর্ডনের। ২৯ বছরের তারকার উত্থান অ্যাডিলেড ইউনাইটেডের যুব দল থেকে। যুব দলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার সময়েই লোনে পারা নাইট হিলসের জার্সিতে সিনিয়র পর্যায়ে অভিষেক ঘটে। শুধু অস্ট্রেলিয়ান লিগে খেলাই নয়, হংকং প্রিমিয়ার লিগের কিটজি এফসিতেও খেলেন এক বছর। আর এবার তিনি যোগ দিতে পারেন লাল-হলুদে। অ্যাডিলেড ইউনাইটেডের হয়ে ১২৪টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে ভারতের সঙ্গে তাঁর আরও একটা যোগ রয়েছে। এর আগে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে কোচিং করা আর্থার পাপাসের কোচিং-এও খেলেদছেন জর্ডন। পরপর দুটো সিজন নিউক্যাসেল জেটসে খেলেন তিনি।
এর আগে শোনা গিয়েছিল বোরহা গ্র্যানেরোকে সই করাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। বাধ্যতামূলকভাবে বাছাই পাঁচ বিদেশির মধ্যে একজনও এশীয় কোটার ফুটবলার নেই। তাই তাদের এশিয়ান কোটায় ভালো ফুটবলার সই করাতেই হবে। তবে ইভানকে ছাড়তে হলে, গোটা মরশুমের টাকা দিতে হবে। সেটাই একটা বড় সমস্যা কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গলে। যদিও শোনা যাচ্ছে, জর্ডনকে লোনে সই করাতে পারে ইস্টবেঙ্গল।
চলতি বছরেই জর্ডন নিউক্যাসেল জেটসকে বিদায় জানিয়ে নাম লিখিয়েছিলেন পার্থ গ্লোরিতে। ইস্টবেঙ্গল তাঁকে লোনে সই করাতে পারে। দীর্ঘদিন এ লিগে খেলার সুবাদে জেসন কামিন্সের মুখোমুখি হয়েছেন বেশ কয়েকবার। এবার কামিন্স-জর্ডন ডুয়েল দেখা যেতে পারে আইএসএল-এ। বিশেষ করে ডার্বিতে এই ডুয়েল দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা।
এ লিগের প্রিমিয়ারশিপ, চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী তারকা এবার লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপাবেন কিনা, সেটা সময়ই বলবে। তবে কুয়াদ্রাত কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেলাবেন সেটাই এখন দেখার।