রবিবার ডার্বি (Kolkata Derby) না হওয়ায় তিন প্রধানের সমর্থকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল ইএম বাইপাস। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই ডার্বির ইতিহাসে অন্য বড় ম্যাচ দেখেছিল তিলোত্তমা কলকাতা। এক হয়ে সহযোদ্ধার মত পুলিশের মার থেকে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal Fans) ক্লাবের সমর্থককে বাঁচিয়েছেন মোহনবাগান ফ্যানরা (Mohun Bagan Fans)। দেখা গিয়েছে এর ঠিক উল্টো দৃশ্যও। তিন প্রধানের প্রানভোমরা সমর্থকদের পাশে সেদিন দেখা যায়নি কর্তাদের। মঙ্গলবার ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে সেই সমর্থকদেরই পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা নিতু সরকার, মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ও মহমেডান সচিব ইসতিয়াক আহমেদ রাজু।
তবে সমর্থকদের সমস্ত দাবি তাঁরা যে একমত নন, তাও বুঝিয়ে দিলেন তাঁরা। রবিবারের মিছিল থেকে জাস্টিস ফর আরজি কর দাবি যেমন উঠেছে, ঠিক সেভাবেই উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগের দাবিও। সেই দাবি সমর্থন করছেন না তিন ক্লাবের কর্তারা। তাঁরা নিন্দা করেছেন পুলিশের লাঠি চার্জেরও। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, 'লাঠি চার্জ কী কারণে হয়েছে জানি না। তবে মনে হয়, এমনটা না হলেই ভাল হত।' পাশাপাশি একযোগে তিন কর্তাই বলেন, 'সমর্থকদের পাশে রয়েছি, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি সমর্থন করি না।'
এই প্রতিবাদে ঢুকে পড়ছে রাজনীতি। যা থেকে নিজেদের আড়াল করতে বারেবারে তৎপর হতে দেখা যায় কর্তাদের। নিজেদের অরাজনৈতিক বলে দাবি করলেও ঠিক কী কারণে তাঁরা সেদিন হওয়া সমর্থকদের ছাড়াতে লালবাজারে গেলেন না বা সমর্থকদের সঙ্গে রাস্তায় নামলেন না তা কার্যত এড়িয়েই গিয়েছেন তিন ক্লাবের কর্তা। নিতু সরকার যেমন বলেন, 'আমরা একটা মিটিং-এ ব্যস্ত ছিলাম।'
বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১২টার কাছাকাছি সময় অবধি সংবাদমাধ্যমে বাইট দিলেও সমর্থক ছাড়াতে যেতে হয় এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে। কীসের জন্য নিজেদের গুটিয়ে রাখলেন তিন প্রধানের কর্তারা? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে না পারলেও, ফেডারেশন কর্তাকেই ঢাল বানিয়ে নিলেন ক্লাব কর্তারা। তাঁদের দাবি, 'ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। তিনি ফুটবলের অভিভাবক। তিনিও তো ফুটবলের প্রতিনিধি। তিনি গিয়েছেন সমর্থকদের ছাড়িয়ে এনেছেন এটাই তো আসল কথা।'