হায়দরাবাদের (Hyderabad) আরও এক ফুটবলার এবার ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal)। মিডফিল্ডার মার্ক জোথানপুইয়াকে (Mark Zothanpuia) আসন্ন মরসুমের জন্য সই করিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ২১ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার লাল-হলুদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। জোথানপুইয়া চলতি মরশুমে নিজামদের হয়ে দারুণ ফুটবল খেলেছেন। ১৭টি আইএসএল (ISL) ম্যাচে একটি অ্যাসিস্ট রয়েছে তাঁর। মনে রাখতে হবে এ মরসুমে দলের দুর্বল হয়ে পড়ায় খুব বেশি গোল করতে পারেননি তিনি।
আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য ছিলেন জোথানপুইয়া
২০১৯ সাল থেকে হায়দরাবাদ দলের সঙ্গে ছিলেন জোথানপুইয়া। তিনি ২০২০-২০২১ সালে আইএসএল চ্যাম্পিয়নও হন তিনি। এই মিজো মিডফিল্ডারকে পঞ্জাব এফসি এবং ওডিশা এফসিও অফার করেছিল, কিন্তু ইস্টবেঙ্গলকেই বেছে নেন তিনি। মনে করা হচ্ছে মার্ক জোথানপুইয়ার আগমনে নিঃসন্দেহে ইস্টবেঙ্গলের বেঞ্চের গভীরতা আরও বাড়বে। মিজোরামের বাসিন্দা এই ফুটবলার হায়দরাবাদ এফসির রিজার্ভ দলে যোগ দেওয়ার আগে পুনে সিটি এফসির যুব দলের হয়ে পেশাদার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে তাঁকে হায়দরাবাদ সিনিয়র স্কোয়াডে জায়গা দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও পরিনত হয়েছেন জোথানপুইয়া। এবার লাল-হলুদ জার্সিতে তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
তবে ইস্টবেঙ্গল দলে তিনি যে যথেষ্ট সুযোগ পাবেন তা অনুমান করাই যায়। প্রতিভাবান তরুণদের তুলে আনার জন্য ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের সুনাম রয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই পিভি বিষ্ণু, আমান সিকে, এবং সায়ন ব্যানার্জি সহ ইস্টবেঙ্গল রিজার্ভ দলের প্রতিশ্রুতিবান প্রতিভা আবিষ্কার করেছেন। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভাল খেলে নজর কেড়েছেন। জোথানপুইয়া কার্লেস কুয়াদ্রাতের শিবিরে তাই খেলার সুযোগ পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মরসুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে গিয়েও হারতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। তবে সুপার কাপ জিতে নিয়েছিল লাল-হলুদ। আর এরপর আইএসএল-এ প্লে অফে পৌঁছে ব্যর্থ হয় কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল। তবে এই মরসুমে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া লাল-হলুদ।