জল্পনা মতোই ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal FC) যোগ দিলেন প্রভাত লাকরা (Pravat Lakra)। আর তাঁকে দারুণভাবে স্বাগত জানালেন তাঁর মা। ইস্টবেঙ্গলের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে বাংলার ছেলের ঘরে ফেরার গল্প। জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC) থেকে লাল-হলুদে সই করেছেন কল্যাণীর এই ডিফেন্ডার। সাদার্ন সমিতি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার আইএসএল-এ (ISL) খেলেছেন বেশ কয়েকটি ক্লাবে।
মায়ের হাতে সরষে ইলিশ খেলেন প্রভাত
ভিডিওতে ঘরে ফিরে আসতে দেখা যায় প্রভাতকে। মাকে বলতে শোনা যায়, 'কী রান্না করেছ?' উত্তরে তাঁর মা সাসপেন্স রেখেই বলেন, স্নান করে এসে তা দেখতে। স্নান সেরে এসে প্রভাত দেখেন বিছানায় রয়েছে লাল-হলুদ জার্সি, তা পরেই খেতে বসে পড়েন তিনি। টেবিলে রাখা ঢাকনা সরিয়েই দেখতে পান সরষে ইলিশ। দারুণ আনন্দে এই বাঙালি ডিফেন্ডার আবেগে মাকে জড়িয়ে ধরেন। যা দেখে চোখে জল চলে আসতে পারে যে কোনও লাল-হলুদ ফ্যানের। ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সরষে জড়িয়ে রয়েছে দারুণভাবে। সেটাই আরও একবার মনে করিয়ে দিল এই ভিডিও।
সাদার্ন থেকে তাঁকে সই করায় আই লিগের ক্লাব গোকুলাম কেরল এফসি। সেটা ২০১৭ সালে। পরের বছরেই আইএসএল-এ ডাক পেয়ে যান এই লেফট ব্যাক। যোগ দেন নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডে। পাঁচ মরসুম নর্থ ইস্টে খেলার পর প্রভাত চলে আসেন জামশেদপুরে। ২০২৩-২৪ মরসুম সেখানে খেলে অবশেষে কলকাতার ক্লাবে ফিরলেন তিনি। প্রভাত খেলেছেন ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দলেও। দুই বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে এলেন প্রভাত।
ইস্টবেঙ্গল এফসি হেডকোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত বলেন, 'লাকরা বাংলার একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ও ক্যারিয়ারে দ্রুত উন্নতি করেছে। আমরা যখনই ওর বিরুদ্ধে খেলেছি ওর লড়াইয়ের মনোভাব এবং ডিফেন্সের দক্ষতা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। আমি নিশ্চিত এই চ্যালেঞ্জিং মরসুমে ও আমাদের অনেক সাহায্য করবে।'
লাকরা গত মরসুমে ১৫টি আইএসএল এবং ৩টি কলিঙ্গ সুপার কাপ ম্যাচ জুড়ে মোট ১,২৮৩ মিনিট খেলেছেন। জামশেদপুরের হয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আইএসএল ২০২৩-২৪ মরসুমে লাকরা ৩৯টি ট্যাকেল, ৬০টি সফল ডুয়েল, ১৯টি সফল এরিয়াল ডুয়েল, ৩টি ব্লক, ৮৪টি রিকভারি এবং ২৬টি ক্লিয়ারেন্স করেছেন।
লাকরা বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল একটি প্রতিষ্ঠান। এই আইকনিক ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দারুণ ব্যাপার। কোচ কুয়াদ্রাতের অধীনে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। তিনি খেলোয়াড়দের অনেক আত্মবিশ্বাস দেয় এবং তাদের মধ্যে থেকে সেরাটা দেওয়ার পাশাপাশি ডার্বি খেলার জন্যও খুব উত্তেজিত।'