ফের ইস্টবেঙ্গলে (East Bengal) আসতে চলেছেন নাইজেরিয়ান তারকা ব্রাইট এনোবাখারে (Bright Enobakhare)? সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা এমনটাই। তবে ইস্টবেঙ্গল বা ইমামির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কিছুই নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। বর্তমানে কোন ক্লাবে রয়েছেন তিনি? ইস্টবেঙ্গলে এলে কত টাকাই বা পাবেন তিনি?
সোশ্যাল মিডিয়ায় কী জানিয়েছিলেন ব্রাইট?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইস্টবেঙ্গল ফ্যানরা ব্রাইটের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি ইস্টবেঙ্গলে ফিরবেন কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দলের প্রাক্তন সদস্য লেখেন, 'পরের মরসুমে'। এর আগেও এই একই প্রশ্ন করেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। সেইটা সময় তাঁর উত্তর ছিল, 'হ্যাঁ আমি ফিরছি।' তবে কবে তিনি ফিরছেন তা তখনও স্পষ্ট করেননি। এরপর তিনি জানিয়ে দেন, পরের মরসুমে ফের ইস্টবেঙ্গল জার্সিতে দেখা যাবে তাঁকে।
ব্রাইটকে নিতে কত টাকা খরচ হবে ইস্টবেঙ্গলের?
বর্তমানে তিনি খেলছেন কাতারের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব আল বিদ্যা এসসিতে। যারা বর্তমানে লিগের পঞ্চম স্থানে রয়েছে। কিন্তু জল্পনা শোনা যাচ্ছে যে, ফের নাকি ইস্টবেঙ্গলে আসতে চলেছেন ব্রাইট। ট্রান্সফার মার্কেট অনুযায়ী তাঁর দাম এখন প্রায় ২ কোটি। তিনি কত টাকা স্যালারি নেবেন সেটাও একটা বিষয়। যদিও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা তাঁকে আনার ব্যাপারে কি ভাবছেন সেটা সময় আসলেই জানা যাবে।
মন জিতেছিলেন ব্রাইট
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলে গিয়েছেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার। তিনি এসেছিলেন অন্য এক ইস্টবেঙ্গলে। সেই ইস্টবেঙ্গল যেন খেলতে ভুলে গিয়েছিল। সমর্থকরা দলের থেকে আশা করাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রাইট এসে যেন দলকে কিছুটা হলেও আশা দেখিয়েছিলেন। বেশ কয়েকটা ম্যাচে একাই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন দলকে। আইএসএলে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে তাঁর সেই গোল গেঁথে রয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের মনের মধ্যে। তাঁরা ঘরের ছেলে হিসাবেই মেনে নিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ব্রাইটের মধুচন্দ্রিমা বেশিদিন টেকেনি। এক বছরের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেয় ক্লাব। লাল-হলুদ ছেড়ে তিনি পাড়ি জমান কভেন্ট্রি ক্লাবে।
উলভসের হয়েও খেলেছেন ব্রাইট
অনেকবারই দল বদল করেন তিনি। একটা সময় তিনি খেলেছেন প্রিমিয়ার লিগে খেলা উলভসের মতো ক্লাবে। এছাড়াও খেলেছেন, ইংলিশ ফুটবলের সেকেন্ড ডিভিশন ক্লাব উইগান এফসিতে। এইসব ক্লাব খেলে তিনি এসেছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। এসেই হয়ে ওঠেন লাল-হলুদ সমর্থকদের চোখের মনি। আইএসএলের অন্যতম সেরা গোলটাও করেছেন তিনি, এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে তিনি এফসি গোয়ার গোলকিপার সহ পাঁচ জনকে কাটিয়ে জালে বল জড়িয়েছিলেন। যা থেকেই তাঁর ওপর দলের প্রত্যাশা বেড়ে ওঠে। কিন্তু তাঁকে বিদায় জানায় ক্লাব মরসুম শেষে।